‘যেখানে জনগণের জনপ্রতিনিধি বাছাইয়ের সুযোগ নেই, এমন একটি নির্বাচনি খেলা জনগণ চায় না। চায় না বলেই জনগণ এ নির্বাচন বর্জন করেছে। আমরা সে কারণেই জনগণের প্রতি নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়েছি। অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছি।’ বলে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন।
নেতা আরও বলেন, আমরা জনগণের জন্য ত্যাগ স্বীকারে রাজি আছি। সরকার এত পরিমাণ অত্যাচার-অনাচার, লুটপাট করেছে, তারা ভয় পায় সুষ্ঠু নির্বাচন করতে। সে কারণে তারা যেকোনোভাবে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নামসর্বস্ব দল বা সরকারের সমর্থক ব্যক্তিদের নিয়ে নির্বাচন আয়োজন করেছে সরকার। জনগণের প্রার্থী বাছাইয়ের কোনো সুযোগ নেই। যাকেই ভোট দেওয়া হোক না কেন, তিনি হবেন সরকারি দল বা সরকারের সমর্থক ব্যক্তি।’
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে মতিঝিল এলাকায় ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে লিফলেট বিতরণকালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন নজরুল ইসলাম খান।
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘যে সরকার জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়, ভোট দিতে দেয় না; নিত্যনৈমিত্তিক দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না, দুর্নীতি-লুট করে দেশের সম্পদ; আমরা এমন সরকারকে অসহযোগিতা করতে দেশের জনগণের কাছে আহ্বান জানিয়ে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছি।’
এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপুসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জেআই/
Discussion about this post