মালদ্বীপকে হারিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বকাপ বাছাই নিশ্চিত করল। দুই দলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্লে অফের প্রথম লেগ ১-১ গোলে ড্র ছিল। বিশ্বকাপ বাছাই খেলতে হলে এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প ছিল না। ২-১ গোলে মালদ্বীপকে হারিয়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় রাউন্ডে নাম লিখিয়েছে বাংলাদেশ। যেখানে অস্ট্রেলিয়া, লেবানন ও প্যালেস্টাইনের বিপক্ষে খেলবে তারা।
ম্যাচের প্রথমার্ধ শেষ হয়েছিল ১-১ সমতায়। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের গোলে বাংলাদেশ লিড নেয়। সেই লিড নেয়ার মিনিট দশেক পরেই বাংলাদেশ দশ জনের দলে পরিণত হয়। সোহেল রানা দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। ৬০ মিনিট থেকে বাংলাদেশ ১০ জন নিয়ে খেলে। তবে মালদ্বীপ দশ জনের বাংলাদেশের বিপক্ষে তেমন আক্রমণাত্মক কিছু করতে পারেনি। উল্টো বাংলাদেশ সমানতালে আক্রমণ করে খেলেছে।
কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা দশ জন হওয়ার পর খেলোয়াড় রদবদল করেন। অধিনায়ক জামাল ভূইয়ার পরিবর্তে মজিবর রহমান জনিকে নামান। ৮০ মিনিটের দিকে অ্যাটাকার ফাহিমের পরিবর্তে মুরাদ হাসানকে খেলান। ছয় মিনিট ইনজুরি সময়ে মালদ্বীপ বাংলাদেশকে কাপন ধরালেও গোলরক্ষক মিতুল ও ডিফেন্ডারদের দৃঢতায় বাংলাদেশ গোল হজম করেনি।
ম্যাচের অন্তিম মূহূর্তে মালদ্বীপও দশ জনের দলে পরিণত হয়। বক্সের সামনে বাংলাদেশের ফরোয়ার্ডকে বাজেভাবে ফাউল করলে রেফারি মালদ্বীপের ফুটবলারকে সরাসরি লাল কার্ড দেখান।
বিশ্বকাপ বাছাই প্লে অফের দ্বিতীয় লেগে বাংলাদেশ-মালদ্বীপ ম্যাচের প্রথমার্ধ শেষ হয়েছিল ১-১ গোলের সমতায়। বাংলাদেশ ১১ মিনিটে লিড নেয়। সফরকারী মালদ্বীপ ৩৬ মিনিটে সমতা আনে। ম্যাচের শুরুটা ছিল মালদ্বীপের আক্রমণ দিয়ে। দুই মিনিটের মধ্যেই দু’টি কর্নার আদায় করে মালদ্বীপ।
প্রথম কয়েক মিনিট মালদ্বীপ প্রাধান্য বিস্তার করলেও ১১ মিনিটে ম্যাচে লিড নেয় বাংলাদেশ। ম্যাচের দশম মিনিটে সাদ উদ্দিনের বাড়ানো বলে ফাহিম দৌড়ে গিয়ে বক্সের শেষ প্রান্তে বল রিসিভ করেন। বল রিসিভ করেই রাকিবের উদ্দেশ্যে দ্রুতগতির কাটব্যাক করেন। ফরোয়ার্ড রাকিব হোসেন দুর্দান্ত প্লেসিংয়ে গোল করলে কিংস অ্যারেনা উল্লাসে ফেটে পড়ে।
এই গোলের মিনিট তিনেক পরেই বাংলাদেশ আরেকটি সুযোগ পেয়েছিল। ডান প্রান্ত থেকে অধিনায়ক জামাল ভূইয়া বক্সের সামনে বল ফেলেন। সতীর্থ ফরোয়ার্ড বলটি রিসিভ করলেও পোস্টে রাখতে পারেননি। অধিনায়ক জামাল ভূইয়া আজকের ম্যাচের প্রথমার্ধে দারুণ খেলেছেন। বিশেষ করে তার বাড়ানো দুই বলে গোলের দারুণ সুযোগ তৈরি হয়েছিল। গোলদাতা রাকিব হোসেন গোলরক্ষক একবার ১:১ পেয়েও বল পোস্টে রাখতে পারেননি।
বাংলাদেশ ব্যবধান দ্বিগুণ করতে ব্যর্থ হলেও মালদ্বীপ সমতা আনতে ভুল করেনি। ৩৬ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে হাজমার কর্ণার ফাহিম হেডে ক্লিয়ার করতে পারেননি। বল আইসাম ইব্রাহিমের মাথায় পড়লে ঠান্ডা মাথায় বল জালে পাঠান। কিংস অ্যারেনার গ্যালারী নিস্তব্ধ হয়ে পড়ে।
গোল হজমের পরও বাংলাদেশ দমে যায়নি। প্রথমার্ধের বাকি সময় গোল করার সর্বাত্মক চেষ্টাই করেছে। যদিও ফিনিশিং ব্যর্থতায় গোল সংখ্যা আর বাড়েনি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বাংলাদেশ লিড নেয়। সাদ উদ্দিনের শটে মালদ্বীপের গোলরক্ষক আংশিক সেভ করেন। সোহেল রানা বল থামিয়ে ফাহিমকে দেন। ফাহিম ফিনিশিং করতে ভুল করেননি। গত ম্যাচে এই ফাহিম অসংখ্য মিস করেছিলেন। এবার তার গোলেই বাংলাদেশ বিশ্বকাপ বাছাই নিশ্চিত করল।
Dhaka Post
Discussion about this post