অ্যাপের মাধ্যমে ওমরাহর পারমিট নিতে পারবেন বাংলাদেশী মুসল্লিরা। অ্যাপটির নাম নুসুক। আগামী বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) থেকে বাংলাদেশে এই প্ল্যাটফর্মটি চালু হচ্ছে। সোমবার আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ মনে করছে- এর মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে পবিত্র ওমরাহ পালন করতে সৌদি আরবে যাওয়া মুসল্লিদের জন্য ভ্রমণ করা আরো সহজ হবে।
ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, আগামী বৃহস্পতিবার ঢাকায় নুসুক প্ল্যাটফর্ম চালু করবে সৌদি আরব। দেশটির পর্যটন কর্তৃপক্ষ আরব নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বাংলাদেশ বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ এবং প্রতি বছর লাখ লাখ বাংলাদেশী পবিত্র হজ ও ওমরাহ পালন করতে সৌদি আরবে সফর করে থাকেন।
আরব নিউজ বলছে, সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী তৌফিগ আল-রাবিয়াহের নেতৃত্বে সৌদির একটি প্রতিনিধিদল আগামী ২৪-২৫ আগস্ট ঢাকা সফর করবে এবং সেই সময়ে সৌদির এই মন্ত্রী বাংলাদেশে নুসুক প্ল্যাটফর্মের উদ্বোধন করবেন।
সৌদি আরবের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম নুসুক অ্যাপের মাধ্যমে সারা বিশ্বের ওমরাহ পালনকারীরা পুরো ওমরাহ যাত্রার পরিকল্পনা করতে পারবেন। এটি ভ্রমণকারীদের ওমরাহ যাত্রার জন্য প্রয়োজনীয় ভিসা এবং পারমিট পেতে সহায়তা করবে।
এশিয়া প্যাসিফিক মার্কেটের নুসুক প্রেসিডেন্ট আলহাসান আলদাববাগ আরব নিউজকে বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে ওমরাহযাত্রী ও পর্যটকদের সুবিধার্থে ঢাকায় প্রথমবারের মতো নুসুক রোডশোর আয়োজন করা হয়েছে। এই রোডশোর মূল উদ্দেশ্য হলো- এই দেশে নুসুক প্ল্যাটফর্ম চালু করা… কারণ সৌদি আরবের জন্য বাংলাদেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বাজার।’
আরব নিউজ বলছে, চলতি বছরের শুরুতে সৌদি পর্যটন কর্তৃপক্ষ মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুরে নুসুক প্ল্যাটফর্ম চালু করেছিল। এই প্ল্যাটফর্মটি মুসল্লিদের মক্কা ও মদিনা এবং এর বাইরে পবিত্র শহরগুলোতে ভ্রমণের পরিকল্পনা করতে এবং এ সংক্রান্ত নানা সেবা গ্রহণের সুযোগ দিয়ে থাকে।
আলদাববাগ বলেছেন, সৌদির এই অনলাইন প্ল্যাটফর্মটি একটি ডিজিটাল পাসপোর্ট হিসেবে কাজ করে, যা হাজী ও ওমরাহযাত্রীদের যাত্রা ও ভ্রমণকে আরো সহজ করে তোলে। চলতি বছর এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৩ লাখ ৩২ হাজার পর্যটককে স্বাগত জানিয়েছে সৌদি আরব। যা এখন পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটির লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭ শতাংশ বেশি বলেও জানান তিনি।
আলদাববাগ বলেছেন, ‘এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ঢাকা আমাদের শীর্ষ পাঁচটি বাজারের একটি। সুতরাং সৌদি আরবের ভিশন-২০৩০ লক্ষ্য অর্জনে এই বাজারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
মূলত এই পরিকল্পনার অধীনে সৌদি আরব প্রধানত তার পর্যটনখাতে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। আলহাসান আলদাববাগ আরো বলেন, ‘সৌদি আরব এ বছর ৭ লাখ বাংলাদেশীকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত রয়েছে। আর ২০৩০ সালে এটি ২৬ লাখে পৌঁছাবে।’
আরব নিউজ বলছে, ব্যক্তিগত ভিজিট ভিসা নিয়ে সৌদি আরবে প্রবেশ করা ভ্রমণকারীরা ওমরাহ পালন করতে পারবেন। একইসাথে ওই একই ভিসাতে উপসাগরীয় এই দেশটির ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক নানা স্থানসহ বিভিন্ন পর্যটন গন্তব্যও ভ্রমণ করতে পারবেন তারা।
Discussion about this post