প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের আস্থা থাকায় আওয়ামী লীগের কোনো নির্বাচনে জেতার জন্য ভোট চুরির প্রয়োজন নেই। বরং আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য কাজ করে, দেশবাসীর আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনের মাধ্যমে জনগণের ভোট পায়।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন যে যখনই তার দল কোনো নির্বাচনে হেরেছে, তখনই তা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় সূচনা বক্তব্যে এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভোট ডাকাতির মাধ্যমে (ষড়যন্ত্রকারীরা) আওয়ামী লীগকে তার প্রকৃত ভোট বা আসন পেতে বঞ্চিত করেছে অথবা আওয়ামী লীগকে পরাজিত করার চেষ্টা করেছে। তিনি বলেন, দেশের মানুষ যখনই অবাধে ভোট দেয়ার সুযোগ পেয়েছে, তখনই তারা আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটকে পরাজিত করে জয়লাভ করেছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা মাত্র ২৯টি আসন পেয়েছিল এবং একটি উপ-নির্বাচন থেকে আরেকটি আসন পেয়েছিল অর্থাৎ মোট ৩০টি আসন। সবাইকে মনে রাখতে হবে যে জনগণ সন্ত্রাসী দল বিএনপিকে ভোট দেয়নি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, হতাশাজনক ফলাফলের কারণে বিএনপি ২০১৪ সালের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেনি। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দীর্ঘ সংগ্রামের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেছে।
সূত্র : ইউএনবি
Discussion about this post