বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের বেশ কয়েকটি অফিসে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) রি-ইস্যু বন্ধ ছিল। এবার পুনরায় চালু করা হয়েছে সেই কার্যক্রম।
এক নোটিশে অধিদফতর জানায়, বর্তমানে দুই শ্রেণির বাংলাদেশি নাগরিক এমআরপি রি-ইস্যু করাতে পারবেন। বাকিদের ই-পাসপোর্ট নিতে হবে।
এতে বলা হয়েছে, দেশে এখনো এমআরপি রি-ইস্যু কার্যক্রম চলমান রয়েছে। যেসব প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিক ব্যক্তিগত প্রয়োজনে দেশে এসেছেন, যাদের বাংলাদেশ পাসপোর্টের মেয়াদ উত্তীর্ণ বা ৬ মাসের কম রয়েছে কিন্তু ভিসার মেয়াদ স্বল্পতার কারণে জরুরি ভিত্তিতে বিদেশে যাওয়া আবশ্যক এবং জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় ই-পাসপোর্টের আবেদন করতে পারছেন না তারা এমআরপি রি-ইস্যুর আবেদন করতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রমাণ হিসেবে প্রবাসীর ভিসা, আকামা, পিআর, জব আইডি অথবা স্টুডেন্ট আইডির যেকোনো একটি থাকতে হবে।
প্রবাসী ছাড়াও বাংলাদেশে বসবাসরত গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তিরা চিকিৎসার উদ্দেশে বিদেশ যাওয়ার পক্ষে প্রয়োজনীয় প্রমাণ দাখিলপূর্বক জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্মনিবন্ধন সনদের ভিত্তিতে এমআরপি রি-ইস্যুর আবেদন করতে পারবেন। প্রবাসী ও অসুস্থ ব্যতীত সাধারণ অবস্থায় সব ক্ষেত্রে পাসপোর্ট সেবা প্রত্যাশীদের ই-পাসপোর্ট গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো।
বাংলাদেশ ২০১৫ সালের ২৪ নভেম্বর হাতে লেখা পাসপোর্ট বাতিল করে এমআরপির যুগে প্রবেশ করে। ২০২০ সালের ২২ জানুয়ারি অত্যাধুনিক ই-পাসপোর্টের প্রবর্তন হয় বাংলাদেশে। ই-পাসপোর্ট আসার কয়েক মাসের মধ্যে নতুনভাবে এমআরপি ইস্যু ও রি-ইস্যু কার্যক্রম বন্ধ হয়। তবে প্রবাসী ও অসুস্থদের দ্রুত পাসপোর্ট দিতে আবারও এমআরপি রি-ইস্যু চালু করে হলো।
Discussion about this post