পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা মামলার পলাতক আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানকে দেশে ফেরাতে তার ফাইল সত্যায়িত করে ঢাকার সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিশনে পাঠাবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন এ তথ্য জানান।
সাংবাদিকরা আরাভকে দেশে ফেরানোর অগ্রগতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মুখপাত্র জানান, আরাভ খানকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য যে ফাইল বা কাগজপত্রগুলো রয়েছে, সেগুলো সত্যায়িত করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিশনে পাঠাবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। আরাভের বিষয়ে কোনো অগ্রগতি থাকলে পরবর্তীতে গণমাধ্যমকে জানানোর কথাও বলেন মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন।
জানা যায়, ২০১৮ সালে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) স্কুল অব ইন্টেলিজেন্স পরিদর্শক মামুন ইমরান খানকে (৩৪) পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। সেই হত্যা মামলার ৬ নম্বর আসামি রবিউল ইসলাম আপন ওরফে আরাভ খান।
মামুন হত্যার ঘটনায় তার ভাই ডিএমপির বনানী থানায় ২০১৮ সালের ১০ জুলাই একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ২০১৯ সালে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। মামলার এজাহার অনুযায়ী আরাভের আসল নাম রবিউল ইসলাম আপন ওরফে সোহাগ ওরফে হৃদয়। মামলায় আপনের ঠিকানা গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এ হত্যা মামলার সাজা থেকে বাঁচতে একেছিলেন বাংলা সিনেমার আয়নাবাজির ছক। আবু ইউসুফ লিমন নামে এক তরুণকে বিকেএসপিতে খেলার সুযোগের প্রলোভন দেখান আরাভ। সেই প্রলোভনে পড়ে লিমন আদালতে আরাভের বদলে আত্মসমর্পণ করে। পরে আদালত লিমনকে কারাগারে পাঠায়। এই ফাঁকে আরাভ ঊর্ধ্বতন এক সরকারি কর্মকর্তার সহায়তায় নকল পাসপোর্ট বানিয়ে দেশ ত্যাগ করে দুবাই চলে যান। পরে এ বিষয়টি জানাজানি হলে লিমনের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা হয়। তিনি এখনও প্রতারণার মামলার হাজিরা দিয়ে যাচ্ছেন। ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে প্রায় ৯ মাস জেল খাটার পর জামিনে মুক্তি পান লিমন।
দুবাইয়ের আরাভ খানই পুলিশ পরিদর্শক মামুন হত্যার ৬ নম্বর পলাতক আসামি বলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের মতিঝিল বিভাগ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ডিবি জানায়, পুলিশের জমা দেওয়া অভিযোগপত্রেও তাকে পলাতক আসামি দেখানো হয়েছে। সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডিবি পুলিশের প্রধান হারুন অর রশীদ বলেছেন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে আপনকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।
Dhaka Post
Discussion about this post