অনেকেই মনে করেন হাইপার টেনশন, ডায়াবেটিসের মতো রোগের লক্ষণগুলো সকলের জন্যই এক। কিন্তু হালের গবেষণায় এ কথা প্রমাণিত হয়েছে যে রোগের প্রকার বা ধরন এক রকম হলেও নারী বা পুরুষদের ক্ষেত্রে লক্ষণগুলো বদলে যেতে পারে। সাধারণত ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে বেশির ভাগ রোগীরই বহুমূত্রের সমস্যা দেখা যায়। গলা শুকিয়ে যায়, প্রস্রাব করতেও সমস্যা হয়। মোটামুটিভাবে এগুলোই ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে সর্বজন বিদিত লক্ষণ।
এর থেকে মুক্তির উপায় কী?
চিকিৎসকদের মতে, এই লক্ষণগুলো ছাড়া আরো কিছু লক্ষণ আছে যেগুলো শুধুমাত্র মেয়েদের মধ্যেই বেশি দেখা যায়। ডায়াবেটিস আক্রান্ত নারীদের মূত্রথলির সংক্রমণ, যৌনাঙ্গে সংক্রমণ এবং হৃদ্রোগের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা পুরুষদের তুলনায় চার গুণ বেশি। শুধু তা-ই নয়, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস থাকলে অনিয়মিত ঋতুচক্র, বন্ধ্যাত্ব ও মিলনে অনীহাও দেখা যায়।
পুষ্টিবিদদের মতে, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে আনতে খাবার সময় এবং খাবার ধরন, এই দুটি বিষয়ের উপর নজর দিতে হয়। যেহেতু নারীদের সংক্রমণজনিত সমস্যাগুলো বেশি, তাই সংক্রমণ রোধ করতে পারে এমন খাবার বেশি করে খেতে পরামর্শ দেন তারা। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে মিষ্টিজাতীয় খাবার কম খাওয়া এবং গোপনাঙ্গে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখাও জরুরি।
ডায়াবিটিসে আক্রান্ত নারীদের হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আশঙ্কা বেশি?
রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেলে, হৃদ্রোগ সংক্রান্ত জটিলতাও বেড়ে যেতে পারে। কারণ, দীর্ঘ দিন ধরে এই রক্তে শর্করার মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত অবস্থায় থাকলে রক্ত জালিকাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে ধমনীর মধ্যে দিয়ে অনিয়ন্ত্রিতভাবে রক্ত প্রবাহিত হতে থাকে, রক্ত চাপ বেড়ে যায়। সেখান থেকেই হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
Discussion about this post