আমিরাতে ফ্রন্টলাইন করোনাযোদ্ধা মামুনুর রশীদ গোল্ডেন ভিসায় সম্মানিতসংযুক্ত আরব আমিরাতে ব্যবসায়ী, চিকিৎসক, শিক্ষক, মেধাবী শিক্ষার্থীর পাশাপাশি করোনার সময় ফ্রন্টলাইন করোনাযোদ্ধাদের মধ্য থেকে বিশেষ কয়েকজনকে গোল্ডেন ভিসা দিচ্ছে আমিরাত সরকার এবং এই ক্যাটাগরিতে গোল্ডেন ভিসা পেলেন বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইউএই এর সিনিয়র সহ সভাপতি মামুনুর রশীদ।
২০২০ সালের মার্চ মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্য নগরী দুবাইয়ের নাইফ এলাকাকে যখন দুবাই সরকার কর্তৃক “রেড জোন এলাকা” বলে ঘোষণা করে লকডাউন করে দেয়। সবাই যখন আত্মরক্ষায় লকডাউনে ঘরমুখি; তখন তিনি দুবাই প্রশাসনের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর সাথে লকডাউন এলাকায় বাংলাদেশি প্রবাসীদের স্বাস্থ্যসেবা ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ কমিউনিটির পক্ষ থেকে ‘বাংলা এক্সপ্রেস টিম’ নামের ১৯ সদস্যের একটি স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন করে প্রবাসীদের সেবায় ঝাপিয়ে পড়েন। টানা এক মাস ধরে তারা দুবাইয়ের এই এলাকায় প্রায় ৩০ হাজার বাংলাদেশিদের সেবা দিয়ে যান। এ সময় নাইফ এলাকায় কাজের পাশাপাশি প্রবাসীদের সচেতন করতে প্রতিদিন আমিরাত সরকারের দিকনির্দেশনার সংবাদ পরিবেশন করতেন।
দেশীয় প্রবাসীদের সেবায় দিনরাত একাকার করেছেন তার টিম নিয়ে। উক্ত এলাকায় লকডাউন শেষ হলেও থেমে থাকেনি এই টিম। বাংলাদেশী প্রবাসীদের কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে তাকে হাসপাতালে পৌছানো, পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌছানোর শিডিউল করে দেয়া এবং বাংলা এক্সপ্রেস এর পক্ষ থেকে খাদ্য সামগ্রীর মাধ্যমে সহযোগিতা করেছেন৷
করোনা পরবর্তী সময়ে দুবাই সরকারের পক্ষ থেকে সবাইকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
মামুনুর রশীদ ১৯৯৮ সালে পরিবারের সাথে দুবাইতে আসেন। দুবাই এর হ্যারিয়েট ওয়াট ইউনিভার্সিটিতে লেখাপড়া শেষ করে বর্তমানে ব্যবসা করছেন। লেখা পড়ার পাশাপাশি গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ শেখা, সাংবাদিকতা ও বাবার সাথে পত্রিকায় লেখালেখি ও বিভিন্ন সংগঠনের বিশেষ পদের দায়িত্ব পালন করেন।
শিক্ষা জীবনের সমাপ্তি করে নিজস্ব ব্যবসার পাশাপাশি একজন সফল সংগঠক ও সাংবাদিক হিসেবেও আমিরাতে বেশ পরিচিতি আছে তার। বর্তমানে বাংলাদেশের জনপ্রিয় টেলিভিশন এনটিভির আমিরাত প্রতিনিধি।