শিল্পখাতে আরো এক দফা প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে সরকার। বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
তবে আবাসিক, সিএনজি ও চা শিল্পের গ্যাসের দাম আগের মতোই থাকছে। দাম বেড়েছে বিদ্যুৎ, শিল্প ও বাণিজ্যিক খাতে। আগামী মাস থেকে এ দাম কার্যকর করা হবে।
বুধবার দুপুরে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। ভর্তুকি সমন্বয়ে গ্যাসের এ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ খাতে সরবরাহ করা প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম ৫ টাকা ২ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১৪ টাকা করা হয়েছে। শিল্পখাতে ১৬ টাকার গ্যাসের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা।
এছাড়াও ক্যাপটিভ পাওয়ার (শিল্প কারখানার নিজস্ব বিদ্যুৎ উৎপাদনে) খাতে গ্যাস প্রতি ঘনমিটারে দাম ১৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা, বৃহৎ শিল্পে ১১ টাকা ৯৮ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা, মাঝারি শিল্পে ১১ টাকা ৭৮ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা এবং ক্ষুদ্র শিল্পে ১০ দশমিক ৭৮ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছে।
এদিকে আবাসিক গ্রাহকদের আগের মতোই এক চুলার দাম ৯৯০ টাকা এবং দুই চুলার দাম ১ হাজার ৮০ টাকা থাকছে বলে জানানো হয়েছে।
এর আগে গত বছরের জুনে গ্যাসের মূল্য ২২.৭৮ শতাংশ বৃদ্ধি করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। ওই সময় সার উৎপাদনে ২৫৯ শতাংশ, শিল্পে ১১.৯৬ শতাংশ (বৃহৎ শিল্পে ১১.৯৮ টাকা, মাঝারি শিল্পে ১১.৭৮ টাকা, ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পে ১০.৭৮ টাকা, চা শিল্পে ১১.৯৩ টাকা), বিদ্যুতে ১২ শতাংশ, ক্যাপটিভে ১৫.৫ শতাংশ দাম বাড়ানো হয়।
এছাড়া আবাসিকে এক চুলার দর ৯৫০ থেকে বাড়িয়ে ৯৯০ টাকা, দুই চুলা ৯৭৫ থেকে বাড়িয়ে ১০৮০ টাকা করা হয়। প্রি-পেইড মিটার ব্যবহারকারী আবাসিক গ্রাহকদের ইউনিটপ্রতি দর ১২.৬০ থেকে বাড়িয়ে ১৮ টাকা, সার উৎপাদনে ঘনমিটার ৪.৪৫ থেকে বাড়িয়ে ১৬ টাকা করা হয়।
Discussion about this post