আরব আমিরাত কর্মরত দেশীয় গণমাধ্যম কর্মীদের সংগঠন বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইউএই’র নতুন কমিটির অভিষেক ও চতুর্থ বর্ষপূর্তি উদাযপন করা হয়েছে। শুক্রবার ( ২৯ জুলাই) অভিষেক আলোচনা, প্রবাসী সম্মাননা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দিয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজন সাজানো হয় ।
মোদাচ্ছের শাহ’র কোরআন তেলওয়াত দিয়ে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠন করেন সংগঠনের সিনিয়র সহ সভাপতি মামুনুর রশীদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণী পাঠ করেন এসএম শাফায়েত। অভিষিক্ত কমিটিকে শপথ বাক্য পাঠ করান অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক বাংলাদেশের জাতীয় প্রেস ক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়সামিন। এরপর নতুন কার্যনির্বাহী কমিটিকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দীপ আজাদ।
সংগঠনের সভাপতি শিবলী আল সাদিকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান জনির পরিচালনায় অভিষেক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আমিরাতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফর। বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন। এসময় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল সভাপতি মাহতাবুর রহমান নাসির, কমিউনিটি নেতা প্রকৌশলী জাফর চৌধুরী সিআইপি ও কমিউনিটি নেতা আইয়ুব আলী বাবুল সিআইপি, ওমান সাংবাদিক ফোরাম সভাপতি হুমায়ুন কবির। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ সভাপতি মুহাম্মদ মোরশেদ আলম।
জাতীয় প্রেস ক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, আমরা সাংবাদিকদের ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতার কথা বলি। স্বাধীনতা মানে যা ইচ্ছা তা লেখা নয়, যা ইচ্ছা তা বলা নয়। এরসঙ্গে দায়িত্বশীলতাকে যোগ করতে হবে। কারণ দায়িত্বশীলতার সাথে কাজ করাই সাংবাদিককের স্বাধীনতা। প্রবাসী সাংবাদিকরা দেশ ও প্রবাসের একটি যোগসূত্র স্থাপন করেছেন। সঠিক তথ্যের পেছনে ছুটছেন। প্রবাসীদের সুখ-দুঃখ, আনন্দ বেদনার কথা বলছেন। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির কথাও বলছেন। আমি আশা করি, প্রবাস থেকেও সাংবাদিকরা দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করবেন।
বিএফইউজে’র মহাসচিব দীপ আজাদ বলেন, আমরা সাংবাদিকদের অধিকার, নিরাপত্তা ও মর্যাদার জন্য কাজ করি। ইতোমধ্যে সরকারিভাবে সাংবাদিকদের জন্য একটি আইন করা হয়েছে। এই আইনটি পরিবর্তনের জন্য সরকারের সাথে আমরা দেনদরবার, লড়াই সংগ্রাম করছি। আমরা আশা করছি, বঙ্গবন্ধু কণ্যা ক্ষমতায় থাকতে সাংবাদিকদের স্বার্থবিরোধী, সাংবাদিকতার পরিপন্থি, মুক্তচিন্তায় বাধা দেয় এমন কোনো আইন বাংলাদেশে হবে না।
কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন সাংবাদিকদের সঠিক তথ্যের উপর ভিত্তি করে সংবাদ পরিবেশনের উপর জোর দেন।
প্রধান অতিথি রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফর তার বক্তব্যে বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের অভিষিক্ত কমিটিকে দূতাবাস ও কনস্যুলেটের পক্ষ থেকে উষ্ণ অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান। রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘সাংবাদিক হিসেবে বাংলাদেশ প্রেসক্লাব সদস্যরা পেশাদারিত্ব বজায় রেখে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবেন। এটি দূতাবাস ও কনস্যুলেটের প্রত্যাশা।’
অনুষ্ঠানে সফল প্রবাসীদের সম্মাননা প্রদান, বর্ষপূর্তির ম্যাগাজিনের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। কলকাতার শিল্পী সঞ্চারী বন্দ্যোপাধ্যায়, ঢাকার ক্লোজ আপ তারকা সোহাগ, মিরাক্কেল সিজন নাইন তারকা কমর উদ্দিন আরমান, বাংলার গায়েন তারকা শাহরিয়ার চৌধুরী ও সঙ্গীত শিল্পী মৌরি সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
পুরো আয়োজনের প্রধান পৃষ্ঠাপোষকতা করে এনআরআই জুয়েলারি। সহ-পৃষ্ঠপোষকতা করে গোল্ডস্যান্ডস্ হোটেলস্ অ্যান্ড রিসোর্টস্ লিমিটেড ও জেন্টাল পার্ক গার্মেন্টস।
Discussion about this post