অনাস্থা ভোটের আগে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, তাকে মেরে ফেলতে পারে। শুক্রবার (১ এপ্রিল) এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তবে তিনি ভীত নন, দেশের স্বার্থে, স্বাধীনতার স্বার্থে লড়াই চালিয়ে যাবেন।
এ আরওয়াই নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রোববার (৩ এপ্রিল) অনাস্থা ভোটের বিষয়ে কথা বলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি বলেন, ‘প্রতিষ্ঠিত’ (শক্তিশালী সামরিক বাহিনী) বাহিনী তাকে তিনটি বিকল্প দিয়েছে। এই বিকল্প তিনটি হলো অনাস্থা ভোট, আগাম নির্বাচন বা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, শুধু তার জীবনই বিপন্ন নয়, বিদেশিদের হাতে খেলা বিরোধী দলও তার চরিত্র হননের চেষ্টা চালাবে।
বিরোধীরা তাকে কী বিকল্প দিয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে ইমরান খান বলেন, তিনি মনে করেন না বিরোধী নেতা শেহবাজ শরিফের মতো লোকেদের সঙ্গে তার কথা বলা উচিত।
তিনি বলেন, যদি আমরা বেঁচে থাকি (অনাস্থা ভোট), আমরা অবশ্যই তাদের সঙ্গে কাজ করতে পারি না, আগাম নির্বাচনই সেরা বিকল্প। ইমরান খান বলেন, আমি আমার জাতিকে অনুরোধ করবো আমাকে একটি সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেওয়ার জন্য যাতে আমাকে আপস করতে হবে না। বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাবকে একটি ষড়যন্ত্র বলেও অভিহিত করেন তিনি।
গত ৮ মার্চ পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করে বিরোধী দলগুলো। গত ২৮ মার্চ জাতীয় পরিষদে আলোচনার জন্য অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। এ প্রস্তাব নিয়ে এখনো আলোচনা শুরু হয়নি। বিধি অনুযায়ী, প্রস্তাব উত্থাপনের পর আলোচনা শুরু করতে ন্যূনতম তিন দিন থেকে সর্বোচ্চ সাত দিন সময় নেওয়া যায়।
সূত্র: এনডিটিভি
Discussion about this post