রাজনৈতিক ও সামরিক সম্পর্ক জোরদারের লক্ষ্যে আগামীকাল মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) ঢাকা আসছেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল সাউদ। বুধবার (১৬ মার্চ) পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে তার প্রথম রাজনৈতিক সংলাপ হওয়ার কথা রয়েছে। ঢাকার কাছে সামরিক অস্ত্র ও সরঞ্জাম বিক্রির প্রস্তাব দেবে রিয়াদ।
সৌদি রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, বিভিন্ন খাতে অন্তত ৬শ কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে চায় তারা। পাশাপাশি, এদেশ থেকে আরও দক্ষ জনশক্তি নিতে চায় সৌদি সরকার। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সফরে কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা।
উল্লেখ্য, সৌদি আরব বাংলাদেশের সবচে বড় শ্রমবাজার। অন্তত ২৩ লাখ বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ করছে সেখানে। বর্তমানে দৈনিক ৬/৭ হাজার ভিসা ইস্যু করছে সৌদি দূতাবাস। ঢাকায় সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসা রবিন ইউসুফ আল দাহিলান বলছেন, এদেশ থেকে আরও শ্রমিক নিতে চান তারা। তিনি বলেন, ২০১৬ থেকে এখন পর্যন্ত সবসময় ফ্লাইট চালু ছিল আমাদের। আমরা আরও মানুষ নিতে চাই। সেক্ষেত্রে সউদী নিয়োগকর্তারা চাচ্ছেন দক্ষ আর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত লোকবল।
অবশ্য এই জনশক্তিনির্ভর সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এখন বাংলাদেশে বিনিয়োগের দিকে ঝুকছে রিয়াদ। গ্যাস, সোলার বিদ্যুৎ, রিফাইনারি ছাড়াও ওষুধ, জাহাজ নির্মাণ ও পাট শিল্পে আগ্রহ দেশটির। প্রাথমিকভাবে এ বিনিয়োগের পরিমাণ দাড়াতে পারে ৬শ কোটি ডলারের মত। সউদী রাষ্ট্রদূত বলেন, তরলীকৃত গ্যাস, রিফাইনারি ছাড়াও অন্যান্য খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী তারা। সব মিলিয়ে বিনিয়োগের জন্য সম্ভাবনাময় জায়গা এ দেশ, এমন মন্তব্যেও করেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে রাজনৈতিক সংলাপের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথেও দেখা করবেন তিনি। ঢাকায় সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত জানান, দুই দেশের শীর্ষ নেতৃত্বের কারণে গত পাঁচ বছরে নতুন উচ্চতায় আমাদের সম্পর্ক। এটা আরও জোরদার হবে। বিশ্ব ফোরামে আমরা অনেক ইস্যুতে একমত হয়ে কাজ করি। এই সফরেও অন্তত তিনটি সমঝোতা বা চুক্তি সই হতে যাচ্ছে।
বাংলাদেশের সাথে সামরিক সম্পর্ক বাড়াতে কাজ করছে সৌদি আরব। সেক্ষেত্রে দেশটির জেনারেল মিলিটারি কোম্পানির উৎপাদিত সামরিক সরঞ্জাম বেচার প্রস্তাব থাকছে এবারের সফরে। রাষ্ট্রদূত জানান, এবার অস্ত্র বিক্রির প্রস্তাব নিয়েও আলোচনা হবে। দুদিনের সফর শেষে বুধবার বিকেলে ঢাকা ছাড়বেন সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রী। সূত্র : ইউএনবি
Discussion about this post