জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবির বাংলাদেশ দূতাবাসে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস-২০২১ পালন করা হয়েছে। ‘শতবর্ষে জাতির পিতা সুবর্ণে স্বাধীনতা/অভিবাসনে আনবো মর্যাদা ও নৈতিকতা’- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে অভিবাসী দিবস পালিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) বাংলাদেশ দূতাবাস ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী, জনতা ব্যাংকের প্রতিনিধি ও বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি উপস্থিত ছিলেন।
দূতাবাসের লেবার কাউন্সিলর (লোকাল) লুৎফুন্নাহার নাজিমের সঞ্চালনায় পবিত্র কোরআন হতে তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। দিবস উপলক্ষে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের কর্মকর্তারা।
এরপর উপস্থিত প্রবাসীরা তাদের ব্যক্তিগত বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন। রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফর ও দূতাবাসের কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিক অনেক সমস্যার সমাধান দেন। একই সঙ্গে সমস্যার সমাধানে করণীয় বিষয়ে উপদেশ প্রদান করেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রভূত ভূমিকা রেখে চলেছেন। প্রবাসীদের প্রেরিত রেমিট্যান্স দেশের অবকাঠামো উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে অন্যতম প্রধান স্তম্ভ। বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীনের পরেই উপসাগরীয় এই দেশটি সর্ব প্রথম সফর করেছিলেন, ফলে উন্মুক্ত হয়েছিল এ দেশে প্রবাসী বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থানের সুযোগ।
বঙ্গবন্ধুর সুদূর প্রসারী নেতৃত্বের কল্যাণেই উপসাগরীয় দেশগুলোতে বাংলাদেশি অভিবাসীদের আগমন শুরু হয়েছিল যার সুফল এখনো দেশের মানুষ ভোগ করছে। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক-নির্দেশনায় বর্তমান সরকার অভিবাসন উন্নয়ন ও অভিবাসী বাংলাদেশিদের স্বার্থ, নিরাপত্তা ও অধিকার সুরক্ষায় আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
রাষ্ট্রদূত সব প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে স্বাধীনতার ৭০ বছরের মধ্যে উচ্চ আয়ের উন্নত সমৃদ্ধ দেশে তথা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে কাজ করার আহ্বান জানান। উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে অনুষ্ঠানের সঞ্চালক অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
Discussion about this post