আরব আমিরাত সহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশসমূহে যাতায়াতাতে তিনগুণ বেশি দাম দিয়ে নিতে হচ্ছে বিমানের টিকিট। দীর্ঘদিন দেশে আটকা পড়ে সঞ্চিত অর্থ শেষ হওয়ায় বেশিরভাগ প্রবাসী সুদের উপর ঋণ নিয়ে কিনছেন চড়া মূল্যের এ বিমান টিকিট।
দুই বছর আগেও ঢাকা থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতগামী ‘ওয়ান ওয়ে’ টিকিট পাওয়া যেত মাত্র ১৬ থেকে ১৭ হাজার টাকায়, সেই টিকিটের মূল্য এখন ৪৫ থেকে ৭০ হাজার টাকায় ঠেকেছে। আবার দুবাই টু ঢাকা, ঢাকা টু দুবাই ‘টু ওয়ে’ টিকিট মূল্য ছাড়িয়ে গেছে প্রায় দেড় লাখ টাকা।
ঢাকা থেকে দুবাই ফেরা একাধিক যাত্রী অভিযোগ করে জানান, করোনার প্রার্দুভাব শুরু হলে স্বাস্থ্যবিধির কথা বলে টিকিটের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়। সেসময় কিছু ফ্লাইটে স্বাস্থ্যবিধি মানা হলেও বর্তমানে সকল সিটেই যাত্রী তুলছে বাংলাদেশ বিমান। তবে এয়ার অ্যারাবিয়া ও ইউএস বাংলা ফ্লাইটে কিছু কিছু সিট খালি রাখার কথা জানান যাত্রীরা।
আটকে পড়া আমিরাত প্রবাসীরা জানান, ঢাকা ছাড়া এখনও দেশের অন্য দুটো বিমানবন্দরে র্যাপিড টেস্ট ল্যাব চালু হয়নি। চট্টগ্রাম, সিলেট সহ সব বিভাগের আমিরাতগামী যাত্রীরা ঢাকা বিমানবন্দর হয়ে কর্মস্থলে ফিরতে হচ্ছে। একদিকে ঢাকা হয়ে ফেরার ধকল অন্যদিকে করোনার বিধি নিষেধ সহ আকাশচুম্বী বিমান টিকিট মূল্যে দিশেহারা তারা।
বিমান টিকিটের এই চড়ামূল্যে দিশেহারা সাধারণ রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকরাও। এ ব্যাপারে অসন্তোষ প্রকাশ করে তারা মূল্যহ্রাসে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
Discussion about this post