মুহাম্মাদ শোয়াইব : মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসীদের অর্থায়ন মোকাবেলায় আরব আমিরাত যে সম্মানজনক রেকর্ড স্থাপন করেছে এবং যে দৃষ্টান্তের স্বাক্ষর রেখেছে তাতে তার নৈতিক দায়িত্ব বোধ ও আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি সমূহ পালনের প্রতি আনুগত্যতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। কারণ এ দুটি অপরাধ রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত করে। পাশাপাশি মানুষের অর্থনৈতিক বিনিয়োগ ও মানুষের চিন্তার জগৎকে প্রভাবিত করে।
একটি আন্তর্জাতিক আকর্ষণীয় অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে আরব আমিরাত শুরু থেকে এ দুটি অপরাধের ব্যাপারে অত্যন্ত সতর্ক ছিল। তা দমনে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিরলসভাবে প্রচেষ্টা চালিয়েছিল।
মানি লন্ডারিং এবং সন্ত্রাসীদের অর্থায়ন এদুটি অপরাধকে এজন্য নির্মূল করা জরুরি যে, এ দুটির মাধ্যমে সন্ত্রাসীরা অর্থ হাসিল করে থাকে। আরব আমিরাত শুরু থেকে এ বিষয়টির প্রতি অত্যন্ত গুরুত্ব আরোপ করেছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মানি লন্ডারিং এবং সন্ত্রাসবাদের অর্থায়ন মোকাবেলায় কমিটির গৃহীত সংস্কারের পরিপ্রেক্ষিতে ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ) কর্তৃক নির্ধারিত আন্তর্জাতিক মানদণ্ড এবং অন্যান্য অনেক বিষয়ের মধ্যে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তিগত সহায়তার গুরুত্ব, এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য মানবিক ও আর্থিক সক্ষমতা তৈরির গুরুত্ব সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা এবং এর অর্থায়ন মোকাবেলা সম্পর্কিত লক্ষ্যবস্তু ও আর্থিক নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করার কথা বলা হয়।
এক্ষেত্রে তাদের বড় সফলতার কারণ আর্থিক অপরাধ শনাক্তকরণে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের উপর গুরুত্বারোপ করা। একটি দক্ষ কমিটি দ্বারা একটি স্মার্ট প্ল্যাটফর্ম চালু করা। সন্দেহজনক লেনদেন যা অর্থ পাচার, সন্ত্রাসীদের অর্থায়ন এবং অনুরূপ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে তা কঠোর হস্তে দমন করা। ইউনিটের কাজ সহযোগিতা সমর্থন করা। ফাইন্যান্সিয়াল ইনফরমেশন ইউনিট চালু করার ঘোষণা দেয়া। আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সাথে স্বচ্ছতা বাড়ানো।
বিশ্ব অর্থনীতির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মানি লন্ডারিং এবং সন্ত্রাসবাদী অর্থায়নের মোকাবিলায় জাতীয় কৌশল তদারকি করছে সুপ্রিম কাউন্সিল।
Discussion about this post