প্রায় ১৬ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের হাসেম ফুড কারখানার আগুন। বৃহস্পতিবার বিকাল পৌনে ৬টায় লাগা আগুন আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় কারখানার চারতলায় জ্বলতে দেখা গেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট কাজ করছে। ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডে তিনজন নিহত ও আহত হয়েছেন অন্তত শতাধিক। নিহতরা হলেন- স্বপ্না আক্তার (৪৫), মীনা আক্তার (৪১) ও মোরসালিন (২৮)। এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত আরও ২০ জন। নিখোঁজদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা বেশি।
কাঞ্চন ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ শাহ আলম বলেন, মধ্যরাতে আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও সকাল ৬টার দিকে আবার কারখানার চারতলায় আগুন বাড়তে থাকে। আগুন নিয়ন্ত্রণের আগপর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল পৌনে ৬টায় কারখানার দোতলায় ফুড প্যাকেজিং করার সময় হঠাৎ নিচ থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখেন।
পরে সে দোতলার গ্লাস ভেঙে নিচে লাফ দেয়। ৩তলার কার্টন সেকশন থেকে লাগা আগুন মুহূর্তে দোতলার টোস্ট সেকশন ৩ তলার লাচ্ছি ও লিচু সেকশন ৪ ও ৫ তলার স্টোর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় কারখানার শ্রমিকরা আতঙ্কে গিয়ে ছাদে আশ্রয় নেয়। এ সময় ছাদ থেকে অনেকে লাফিয়ে পড়তে শুরু করে। স্বপ্না রানী (৪২) ও মিনা আক্তার (৪৪) নামের দুই নারী শ্রমিক নিহত হয়। নিহত স্বপ্না রানী হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার গুলডুবা গ্রামের যতীন সরকারের স্ত্রী এবং নিহত মীনা আক্তার কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার উত্তরকান্দা কুকিমাদল এলাকার হারুনের স্ত্রী। তারা দুজন দোতলার অডি সেকশনের ক্যাজুয়্যাল শ্রমিক বলে নিশ্চিত করেছেন সেই সেকশনের অপারেটর আজিজ মিয়া এবং তাদের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন স্থানীয় ইউএস বাংলার চিকিৎসক শাহাদাত হোসেন। এছাড়া এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ইউএস বাংলা মেডিকেলে ১৭ শ্রমিককসহ রূপগঞ্জের বিভিন্ন হাসপাতালে এবং ঢাকায় শতাধিক শ্রমিককে ভর্তি করা হয়েছে।
Discussion about this post