আরব আমিরাতের বাণিজ্যিক রাজধানী দুবাইতে রবীন্দ্রনাথ-নজরুল স্মরণে আনন্দ উৎসব উদযাপিত হয়েছে। শুক্রবার রাতে ‘শেকড়ের খোঁজে’ সংগঠনের আয়োজনে দুবাই’র ক্রাউন প্লাজায় একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
‘অগ্নিবীণায় গীতাঞ্জলি’ নামক এই অনুষ্ঠানে রবীন্দ্র-নজরুলের লেখা গান, কবিতা পরিবেশন করা হয়। এছাড়াও তাদের জীবনী নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়। দুই কবির সম্পর্ক কিংবা শিল্পচর্চা নিয়ে কথা বলেন অনুষ্ঠানটির সঞ্চালক মামুন রেজা, আরিফা নুশরাত ও শেফা।
স্বল্প আলোয় মঞ্চস্থ হয় সাহিত্যের দুই মহারথীর একেকটি সৃষ্টি। কখনও নজরুলের বিদ্রোহের কবিতা কখনও রবি ঠাকুরের প্রেমের গান। ফাঁকে ফাঁকে সংগঠনের সদস্যদের কবিতা আবৃতি ও নৃত্য পরিবেশনায় পুরো সময় জুড়ে আগত অতিথিদের স্মরণের দুয়ারে এসে হাজির হন সাহিত্যের দুই নক্ষত্র।
সংগঠন সভাপতি কাজী গুলশান আরার পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেটের ডেপুটি কনসাল জেনারেল সাহেদুল ইসলাম। এ ছাড়াও অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন শিক্ষাবিদ খন্দকার হাবিবুর রহমান, সিআইপি মাহতাবুর রহমান নাসির, সংগঠক প্রকৌশলী মুয়াজ্জেম হোসেন, বাইজুন নাহার চৌধুরী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে আগত অতিথিরা বিদেশের মাটিতে এমন দেশীয় সংস্কৃতি ও সাহিত্য চর্চা করায় সংগঠনটির ভূয়সী প্রশংসা করেন।
সভাপতি কাজী গুলশান আরা বলেন, রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল বাংলা সাহিত্যের দুই মহারথী। আমরা যারা প্রবাসে থাকি, সঙ্গত কারণে তারা বাংলা সাহিত্য থেকে অনেক দূরে আছি। আমাদের প্রজন্মের কাছে রবীন্দ্রনাথ এবং নজরুলকে তুলে ধরাটাই ছিল আয়োজনের উদ্দেশ্য। পুরো অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি ও পরিবেশনায় সংগঠনের সদস্যরাই অংশগ্রহণ করেছে। তারা নিজেরাই এর আয়োজন করেছে। আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।
Discussion about this post