গত ১৮ মে আবুধাবিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের ‘পাসপোর্টে তথ্যাদি সংশোধন’ বিষয়ক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর অসংখ্য প্রবাসী নিজ নিজ পাসপোর্টের তথ্য সংশোধনের জন্যে চিন্তা করছেন। অনেকে দূতাবাস ও কনস্যুলেটে যোগাযোগ করেছেন। কেউ কেউ সাংবাদিকদের কাছে এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছেন। বিশেষ করে পাসপোর্টে থাকা বয়স, বাবার নাম, মায়ের নাম ও নিজের নাম সংশোধনের বিষয়টি প্রাধান্য দিচ্ছেন।
কথা হচ্ছে, পাসপোর্টের তথ্য সংশোধন করার আগে আপনাদের কয়েকটি বিষয় ভালোভাবে চিন্তা করতে হবে। যেহেতু সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রত্যেক বৈধ প্রবাসীর তথ্য সংরক্ষণ করে এবং এখানকার ভিসা প্রসেসিং সিস্টেম অত্যন্ত জটিল। আবার ভিসার সঙ্গে জড়িয়ে আছে আপনার ব্যক্তিগত আইডি, মেডিকেল কার্ড, ব্যাংক কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স সহ প্রতিষ্ঠানিক বিভিন্ন কাগজপত্র। বলা চলে, এগুলো একটির সঙ্গে আরেকটির গভীর সম্পর্ক রয়েছে। তাই অদূর ভবিষ্যতে এই সংশোধনীর জন্যে আপনাকে বড় কোনো ঝামেলায় পড়তে হবে কি-না বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।
পাসপোর্টে তথ্যাদি সংশোধনীর বিষয়ে আজ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের প্রথম সচিব (পাসপোর্ট ও ভিসা) নূর-এ মাহবুবা জয়া’র সঙ্গে আলাপ করি। তিনিও উপরের বিষয়গুলোকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন।
তার ভাষ্য মতে, সংশোধন করতে ইচ্ছুক প্রবাসীরা ভবিষ্যতে এখানকার দাপ্তরিক কোনো সমস্যায় পড়বেন কি-না বিষয়টি স্থানীয় তহসিল বা ইমিগ্রেশন থেকে নিশ্চিত হওয়া উত্তম।
তিনি বলেন, আমরা সংশোধন করে দিলেও পরবর্তীতে ভিসা নবায়ন ও অন্যান্য কাজকর্মে এটির ব্যবহার করা খুব কষ্টকর হয়ে যাবে। অনেক ক্ষেত্রে প্রায় অসম্ভবও হয়ে যেতে পারে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এখানে একবছরের মধ্যে হলে এসব তথ্য পরিবর্তন করা যায়। সচরাচর পাসপোর্টের তথ্য পরিবর্তন করলে মধ্যপ্রাচ্যের প্রবাসীরা সমস্যায় পড়ে যান। পরে দেখা যায় অনেকে পূর্বের তথ্যে নিয়ে আসতে পুনরায় আবেদন করেন। বিভিন্ন উপায়ে সমস্যার সমাধান খুঁজেন। কিন্তু এই বিষয়গুলো প্রথমেই মাথায় রাখলে পরে সমস্যায় পড়তে হয় না।
তবুও যেসকল প্রবাসীরা অতি প্রয়োজনে পাসপোর্টের তথ্য সংশোধন করতে ইচ্ছুক তারা প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্র নিয়ে দূতাবাস ও কনস্যুলেটে সরাসরি যোগাযোগ করতে অনুরোধ করেছেন তিনি।
কামরুল হাসান জনি
দুবাই ; ১ জুন ২০২১
Discussion about this post