করোনা মহামারীর প্রাদুর্ভাব ঘটে চীনে। এর পর এ ভাইরাসটি অন্য দেশে ছড়িয়ে পড়ে মূলত চীন থেকে করোনাভাইরাসে-আক্রান্ত ব্যক্তির সে দেশে প্রবেশের মাধ্যমে। এর পর আক্রান্ত দেশের আক্রান্ত নাগরিকদের নতুন নতুন দেশে প্রবেশের কারণে সেসব দেশেও ছড়িয়ে পড়ে করোনা। করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে প্রতিটি দেশের সরকার তাদের আন্তর্জাতিক প্রবেশপথগুলোতে কড়াকড়ি আরোপ করেছে; দেশের বাইরে থেকে প্রতিটি মানুষের প্রবেশে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করার পাশাপাশি অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে গুরুত্ব দিচ্ছে।
বাংলাদেশ সরকারের সর্বশেষ নির্দেশনায়ও এর প্রতিফলন ঘটেছে। এতে বাইরের যে কোনো দেশ থেকে প্রবেশে শর্তারোপ হিসেবে বলা হয়েছে আন্তর্জাতিক পথের কোনো যাত্রী যাত্রা শুরুর সর্বোচ্চ ৭২ ঘণ্টা আগে হাতে পাওয়া ‘করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট’ ছাড়া বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারবে না। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় দেশের বিমানবন্দরগুলোয় বাইরে থেকে আগত সবার স্বাস্থ্য পরীক্ষাও বাধ্যতামূলক করেছে সরকার।
গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে এ নির্দেশনা কার্যকর হয়েছে। কিন্তু সরকারের এ নির্দেশনা মানছে না খোদ রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সসহ বেশ কয়েকটি বিদেশি এয়ারলাইন্স। গত শনি ও রবিবার ৯টি এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে ৪৪৩ যাত্রী করোনা সনদ ছাড়াই এ দেশে প্রবেশের প্রধানতম বিমানবন্দর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসেছেন।
শুধু তাই নয়, করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট যাচাই এবং সব যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষায়ও অবহেলার অভিযোগ উঠেছে। যাত্রীদের করোনা সনদ যাচাই ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিশ্চিত করার কথা বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য ডেস্কে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীদের। কিন্তু সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়িত্ব পালনে অবহেলার অভিযোগ এনেছেন খোদ শাহজালাল বিমানবন্দরের পরিচালক।
সুস্পষ্ট অভিযোগ তুলে ধরে একাধিক স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর একটি চিঠিও দিয়েছেন তিনি। এসব স্বাস্থ্যকর্মী করোনা পজিটিভ যাত্রীদেরও হেলথ টোকেন দিয়েছিলেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন তিনি।
Discussion about this post