ঘরে কিংবা বাসায় কুরআনুল কারিমের এমন অনেক পাণ্ডুলিপি থাকে, যা পড়া যায় না। হয় অক্ষর ঝাপসা হয়ে গেছে কিংবা কিছু অংশ ছিঁড়ে গেছে বা লেখা মুছে গেছে। মসজিদেও এমন অনেক পুরোনো কুরআন শরিফ চোখে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে পুরোনো বা ছেঁড়া এসব কুরআন শরিফ কী করতে হবে? এ সম্পর্কে ইসলামের নির্দেশনাই বা কী?
পুরোনো বা ছেঁড়া কুরআন শরিফ সংরক্ষণ সম্পর্কিত বিষয়টি জানা সবার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা বাসা-বাড়ি বা মসজিদ-মাদরাসায় থাকা কুরআনুল কারিমের পুরোনো বা ছেঁড়া পাণ্ডুলিপিগুলো নিয়ে অনেকেই আতঙ্কে থাকেন। তারা বুঝে ওঠতে পারেন না যে, এসব ক্ষেত্রে তারা কী করবেন? কোথায় রাখবেন? এ পরিস্থিতিতে রয়েছে সুনির্দিষ্ট করণীয়। এতে আতঙ্কিত বা চিন্তিত হওয়ার কিছুই নেই।
ইসলামের নির্দেশনা হলো-
পুরনো, ছেঁড়া বা পড়ার অনুপযুক্ত কুরআনুল কারিমের কপিগুলোর সম্মান ও মর্যাদা রক্ষায় করণীয় সম্পর্কে একাধিক মতামত পাওয়া যায়। কেউ কেউ তা আগুনে পুড়ে ফেলাকে সবচেয়ে উত্তম বলেছেন। তারা হজরত ওসমান রাদিয়াল্লাহু আনহুর সময়ের ঘটনার বর্ণনা তুলে ধরেন। তাহলো-
– হজরত ওসমান ইবনে আফফান রাদিয়াল্লাহু আনহু যখন কুরআনুল কারিমের মুসহাবগুলো (বিক্ষিপ্ত খণ্ডগুলো) একত্র করলেন তখন যেগুলো অতিরিক্ত রয়ে গেল, আর কাজে লাগবে না; তখন সবগুলোকে একসঙ্গে একত্রিত করে পুড়ে ফেললেন। তারপর তা মাটিতে পুঁতে দিলেন।’
হজরত ওসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু এ আমলটির অনুসরণে কুরআনুল কারিমের ছেঁড়া, পুরনো কপিগুলো পুড়িয়ে তা মাটিতে পুঁতে ফেলা জায়েজ এবং বৈধ।
Discussion about this post