পাকিস্তানের পেশোয়ারের একটি মাদ্রাসায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় অন্তত সাতজন ছাত্র নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে বহু। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিস্ফোরণের সময় মাদ্রাসায় ৬০ জন ছাত্র ক্লাস করছিল।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে পেশোয়ারের পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) সকালে মাদ্রাসাটিতে ক্লাস শুরু হয়। কোরআনের ক্লাস হওয়ার সময় এক ব্যক্তি ওই ক্লাস ঘরে ঢোকেন। তার হাতে একটি ব্যাগ ছিল। বিস্ফোরণের কিছুক্ষণ আগে ব্যাগটি রেখে তিনি ক্লাস থেকে বেরিয়ে যান। কিছুক্ষণের মধ্যেই বিস্ফোরণ হয়।
বিস্ফোরণের তীব্রতায় ক্লাসের ছাদ উড়ে গেছে। মাদ্রাসাটির একাংশ ভেঙে গেছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধারকর্মীরা সাতজনের মরদেহ উদ্ধার করেছেন। এছাড়া অন্তত ৩৪ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পেশোয়ার পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী জানান, মাদ্রাসা এলাকাটি ঘেরাও করে তদন্ত করছে সদস্যরা।
প্রাথমিক প্রতিবেদনে বিস্ফোরণে একটি উন্নত বিস্ফোরক ডিভাইস (আইইডি) ব্যবহৃত হয়েছিল বলে প্রমাণিত হয়েছে বলে জানান রাজ্যের জ্যেষ্ঠ সিনিয়র পুলিশ সুপার (অপারেশনস) মনসুর আমান। এএফপিকে তিনি বলেন, ‘বিস্ফোরণে পাঁচ কেজি বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল।’
এখনো কোনো জঙ্গি সংগঠন বা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এ বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি। আহতদের খাইবার টিচিং হাসপাতাল, হায়াতাবাদ মেডিকেল কমপ্লেক্স এবং নাসিরুল্লাহ খান বাবর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। খাইবার পাখতুনখাওয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী তৈমুর সালেম বিস্ফোরণ স্থলটি পরিদর্শন করেছেন।
Discussion about this post