একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও জাতীয় পাটির নেতা সৈয়দ মুহাম্মদ কায়সারের মৃত্যু পরোয়ানা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছেছে।
বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) কায়সারের বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানা জারির পর তা লাল কাপড়ে মোড়ানো পরোয়ানাটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে কারাগারে পাঠানো হয়।
ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার সাঈদ আহমেদ সময় সংবাদকে বলেন, বুধবার (২১ অক্টোবর) সাবেক প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি তারা হাতে পান। নিয়ম অনুযায়ী ১৫ দিনের রিভিউ আবেদনের সুযোগ পাবেন কায়সার। সেটি খারিজ হলে রাষ্টপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইতে হবে যুদ্ধাপরাধী কায়সারকে।
এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।
মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণের মতো যুদ্ধাপরাধের দায়ে সৈয়দ কায়সারকে ২০১৫ সালের ২৩ ডিসেম্বর মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।
১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় ‘কায়সার বাহিনী’ গঠন করে ওই দুই জেলায় যুদ্ধাপরাধে নেতৃত্ব দেন তখনকার এই মুসলিম লীগ নেতা। জিয়াউর রহমানের আমলে তিনি হয়ে যান বিএনপির লোক। হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সময় জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন সৈয়দ কায়সার।
রায়ে সৈয়দ কায়সারের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা ১৬ অভিযোগের মধ্যে ১৪টি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়। তাকে দুই নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় সাজাও দেয়া হয়। ওই দুই বীরাঙ্গনার মধ্যে একজন এবং তার গর্ভে জন্ম নেওয়া এক যুদ্ধশিশু এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন।
Discussion about this post