কুয়েতে অভিবাসী কমাতে সর্বসম্মতিক্রমে নতুন আইন পাস করেছে দেশটির পার্লামেন্ট। নতুন আইনে সরকারকে এক বছর সময় দেয়া হয়েছে অভিবাসী জনসংখ্যা কমাতে। এতে হাজার হাজার অভিবাসী শ্রমিককে ইচ্ছার বিরুদ্ধেই নিজ দেশে ফিরতে হবে। ব্লুমবার্গের বরাত দিয়ে এ খরব জানিয়েছে মিডলইস্ট আই।
উপসাগীর দেশটিতে কয়েক দশক ধরে লাখ লাখ দক্ষ ও অদক্ষ অভিবাসী শ্রমিক বসবাস করে আসছে। তেল সমৃদ্ধ দেশটির জনসংখ্যা ৪৮ লাখ। আর দেশটিতে অভিবাসীর সংখ্যা ৩৪ লাখ।
ব্লুমবার্গ বলছে, কুয়েতের তেলনির্ভর অর্থনীতির গতিশীলতা ধরে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন অভিবাসী শ্রমিকরা। তবে সম্প্রতি করোনাভাইরাস মহামারির কারণে তেলের দাম কমে যাওয়ায় কুয়েতের অর্থনীতিতে ধস নেমেছে। অর্থনীতি সক্রিয় রাখতে এবং দেশে অভিবাসীদের সংখ্যায় ভারসাম্য আনতেই নতুন আইন জারি করা হয়েছে।
গত জুনে কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী শেখ সাবাহ আল খালিদ আল সাবাহ বলেছিলেন, দেশে অবস্থানরত অভিবাসীর সংখ্যা ৭০ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে। তার ওই ঘোষণার পরই সরকার নতুন এই অভিবাসী আইন তৈরির পদক্ষেপ নেয়।
জুলাই মাসে কুয়েতের পার্লামেন্টে পাস হওয়া আইন অনুযায়ী, দেশটিতে ভারতীয় অভিবাসীর সংখ্যা ১৫ শতাংশের বেশি এবং মিসর, ফিলিপাইন এবং শ্রীলঙ্কার অভিবাসীর সংখ্যা ১০ শতাংশের বেশি হতে পারবে না। নতুন আইনে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নেপাল এবং ভিয়েতনাম থেকে আসা অভিবাসীর সংখ্যা ৫ শতাংশের ওপরে যেতে পারবে না।
Discussion about this post