কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীর লোহাজুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাহার উদ্দিন ভূঁইয়া রতনের বিরুদ্ধে লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্টের (এলজিএসপি) টাকা দিয়ে বাড়ি করার অভিযোগ উঠেছে। এসব টাকা প্রজেক্টের সভাপতি বা সংশ্লিষ্টদের না দিয়ে নিজের ইচ্ছেমতো খরচ করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন ইউপি সদস্যরা। টাকা না পাওয়ায় আজ মঙ্গলবার দুপুরে ক্ষুব্ধ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও এলাকাবাসী চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন।
জানা গেছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে উপজেলার লোহাজুড়ি ইউনিয়নে ১১টি প্রকল্পের জন্য ১৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। সেই কাজ বাস্তবায়ন হয় ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে। এসব প্রকল্পের সভাপতি সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যরা। কিন্তু প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী এইসব টাকা যৌথ স্বাক্ষরে ব্যাংক থেকে উত্তোলন করেন চেয়ারম্যান, ইউপি সচিব ও একজন নারী ইউপি সদস্য।
অভিযোগ উঠেছে, ইউপি চেয়ারম্যান আতাহার উদ্দিন ভূঁইয়া রতন ব্যাংক থেকে প্রকল্পের ১২ লাখ ২০ হাজার উঠিয়ে আর সভাপতি বা সংশ্লিষ্টদের দেননি। তিনি এসব টাকা এলাকায় বাড়ি কেনায় ব্যয় করেছেন।
ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আব্দুর রশিদ অভিযোগ করে বলেন, এ বছরের জুলাই পর্যন্ত তিনি ব্যাংক থেকে টাকাগুলো উঠিয়ে নেন। ঘটনা জানাজানি হয়ে গেলে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা চেয়াম্যানকে টাকা দিতে বললে তিনি নানা অজুহাতে ঘুরাতে থাকেন। আজ পুরো টাকা দেওয়ার তারিখ নির্ধারিত ছিল। কিন্তু চেয়াম্যান টাকা নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে না যাওয়ায় ক্ষিপ্ত ইউপি সদস্যরা এলাকার লোকজন নিয়ে পরিষদে তালা ঝুলিয়ে দেয়।
এ বিষয়ে লোহাজুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাহার উদ্দিন ভূঁইয়া রতন অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, ইউপি সদস্যরা তাঁর কাছে যে পরিমান টাকা দাবি করছেন, টাকার অঙ্কটা এত হবে না। তাঁদের বিভিন্ন সময় কিছু কিছু টাকা তিনি দিয়েছেন। বাকি টাকাও পরিশোধ করবেন। তিনি বলেন, আমি বাড়ি করার সময় টাকার সমস্যা পড়ে গিয়ে এই টাকাটা খরচ করে ফেলেছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. আকতারুন নেছার বলেন, এলজিএসপির টাকা আত্মসাতের কোনো অভিযোগ আমি পাইনি। অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেব। আর ইউনিয়ন পরিষদে তালা ঝুলিয়ে দেয়ার বিষয়টিও কেউ আমাকে জানায়নি।
Discussion about this post