ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে রাজধানীর কোতোয়ালি থানার ওসি মিজানুর রহমানসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক ব্যবসায়ী। সোমবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আবু সুফিয়ান নোমানের আদালতে এ মামলাটি করেন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের কাপড় ব্যবসায়ী মো. সোহেল মীর।
আদালত মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে(পিবিআই) তদন্ত করে ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। পিবিআইয়ের একজন এএসপি পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে তদন্তভার দিতে নির্দেশ দেন আদালত। মামলার অপর আসামিরা হলেন- কোতয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক পবিত্র সরকার (৪২), খালিদ শেখ (৪৫), সহকারী উপ-পরিদর্শক শাহিনুর রহমান (৪২), কনেস্টবল মো. মিজান (৫২) ও সোর্স মোতালেব।
বাদী মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, গত ২ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বুড়িগঙ্গা নদী পার হয়ে কোতোয়ালি থানার ওয়াইজঘাট এলাকা দিয়ে মেয়ের বাসার দিকে যাচ্ছিলেন মো. সোহেল। পথে পুলিশ তাকে ঘেরাও করে। তল্লাশি করে তার পকেটে থাকা ২ হাজার ৯০০ টাকা নেয় পুলিশ। তল্লাশি শেষে পুলিশ তাকে চলে যেতে বলে। তখন সোহেল সেই টাকা ফেরত চান। তখন তাকে মারধর করা হয়। সেখানে লোক সমাগম বাড়তে থাকে। লোকজন এসে জানতে চান, কী হয়েছে? তখন আসামিরা বলে, তার পকেটে দুই প্যাকেট ইয়াবা পাওয়া গেছে। তাকে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি হিসেবে ফাঁসাতে চান। তখন সোহেল তাদের কাছে কাগজ দেখতে চান।
পরে আসামিরা তাকে থানায় নিয়ে যায় এবং তার পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা সেখানে গেলে আসামিরা তাদের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। না হলে ক্রসফায়ারে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। জেএমবির সদস্য বলে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়। এ সময় ওসি তাদের টাকার ব্যবস্থা করতে বলেন। সোহেলের পরিবারের সদস্যরা রাতেই আসামিদের ২ লাখ টাকা দেন। পরদিন সকালে আরও ১ লাখ টাকা দেন।
টাকা দেওয়ার পর সোহেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়, মিটফোর্ড হাসপাতালের ভেতরে তিনি মাদক সেবন এবং শিক্ষার্থীদের উত্যক্ত করছিলেন। তার বিরুদ্ধে নন-এফআইআর করে পুলিশ। আবার আসামিরাই তাকে জামিন করিয়ে আনেন। পরে ভিকটিম সোহেল আদালতে এসে মামলাটি দায়ের করেন। ইউএনবি
Discussion about this post