জয়নাল আবেদীন( জুয়েল) মাস্কাট, ওমান: বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশ্বব্যাপী করোনার ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মানুষের সাধারন জীবনাপনে ব্যঘাত সৃষ্টি করেছে। বিশ্বজুড়ে এই মহামারী যেন ছত্রাকের মত ছড়িয়ে পড়েছে। ভাইরাসটির প্রতিষেধক হিসেবে তৈরি হয়নি কোন নির্দিষ্ট ঔষধ এবং কখন এর নির্দিষ্ট প্রতিষেধক পাওয়া যাবে তারও কোন নিশ্চয়তা দিতে পারছেনা বিশেষজ্ঞরা।
আতংকের মাঝে কাটাতে হচ্ছে গত কয়েকটি মাস। মহামারীর এই সংক্রমন থেকে রক্ষা পেতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ছিল লকডাউনে। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বিভিন্ন কর্মসংস্থান। মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় সবগুলো দেশেই বাংলাদেশী প্রবাসীরা কর্মহীন হয়ে পড়েছে। চাকরি হারিয়ে মানসিক চাপে পড়েছে অনেক প্রবাসী বাংলাদেশী। কর্মহীন প্রবাসীদের মাঝে অনেকেরই ইতিমধ্যে ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। কাজ না থাকায় প্রবাসীরা ভুগছে মানসিক টেনশনে। একদিকে প্রবাসের নিজের খরচ যোগাড় করা অপরদিকে পরিবারে টাকা না পাঠাতে পেরে বিপাকে পড়তে হয়েছে অধিকাংশ প্রবাসীদের।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ গুলোতে থাকা বাংলাদেশ দূর্তাবাসের সহযোগীতায় চালু করা হয়েছে কিছু বিশেষ ফ্লাইট। আটকে পড়া প্রবাসীদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে চুক্তি করা হয়েছে বিভিন্ন এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষের সাথে। প্রবাসে অবস্থিত বাংলাদেশ দূর্তাবাসের ফরম পূরন করে তালিকায় নাম আসা ব্যক্তিরা দেশে ফিরে যাওয়ার অগ্রাধিকার পেয়েছে। তালিকায় নাম আসার ক্ষেত্রেও স্বজনপ্রীতি কাজ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে প্রবাসীদের। দীর্ঘ কয়েকমাস ধরে কাজ না থাকায় অতিরিক্ত মূল্যে টিকেট ক্রয় করা সম্ভব হচ্ছেনা বলে দাবি করছেন প্রবাসীরা। বিশেষ ফ্লাইটের নামে টিকেটের অতিরিক্ত মূল্য হাতিয়ে নিচ্ছে বিভিন্ন এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ।
একজন প্রবাসী তখনই সিদ্ধান্ত নেয় স্বদেশে ফিরে যেতে যখন তার চলার মত আর কোন রাস্তা থাকেনা। কোন প্রবাসীই ভাগ্য বদল করতে এসে ইচ্ছাকৃত ফিরে যেতে চায়না। তাই অসহায় প্রবাসীরা চায় অতিশীঘ্রই যেন স্বাভাবিক ভাবে বিমান চলাচল শুরু হয়। তাই সরকারের প্রতি অনুরোধ দেশে ফিরে যাওয়া প্রবাসীদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়ানো এবং সুদমুক্ত ঋণ দিয়ে প্রবাসীদের বেঁচে থাকার ব্যবস্থাটুকু করে দেওয়া। বাংলার অসহায় রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের প্রতি সদয় হওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি কামনা করছি।
Discussion about this post