চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং নিজ দেশের সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির জন্য সবাইকে তৈরি থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
শি জিনপিং বলেন, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে। সামরিক প্রশিক্ষণ বাড়াতে হবে এবং যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। ভারত সীমান্তে চীনের সামরিক উপস্থিতি বৃদ্ধির মধ্যেই ভাষণে তিনি এমন নির্দেশ দিলেন।
মঙ্গলবার (২৬ মে) পিপলস লিবারেশন আর্মি ও পিপলস আর্মড পুলিশ ফোর্স-এর প্রতিনিধিদের উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
এদিকে চীনের প্রেসিডেন্টের যুদ্ধ প্রস্তুতির নির্দেশের দিন নিজ দেশের তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর আগে গত ২২ মে চীনের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই লাদাখ সফরে যান ভারতের সেনাপ্রধান এম এম নারাভানে।
সম্প্রতি ভারত ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। বিশেষ করে লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ-রেখা বরাবর প্রবল উত্তেজনা বিরাজ করছে। চীন সেখানে ভারতীয় এলাকায় ঢুকে পড়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। ভারতের পানিসীমা ও আকাশসীমা লঙ্ঘনেরও অভিযোগ উঠছে বেইজিং-এর বিরুদ্ধে। লাদাখ ও উত্তর সিকিমে দুই দেশই সেনা ও সমরাস্ত্রের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়িয়েছে।
ভারতের অবসরপ্রাপ্ত স্কোয়াড্রন লিডার সমীর জোশি ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভিকে বলেছেন, চীনের যুদ্ধবিমানগুলো ওই উচ্চতায় এক ঘণ্টার বেশি উড়তে পারবে না। সেই তুলনায় ভারতের যুদ্ধবিমানগুলো সমতলের এয়ারবেস থেকে তিন থেকে চার ঘণ্টা উড়তে পারবে। অবশ্য তার জন্য এয়ার টু এয়ার রিফুয়েলিং ট্যাঙ্কার ব্যবহার করতে হবে।
লাদাখ থেকে অরুণাচল প্রদেশ। প্রায় তিন হাজার ৪৮৮ কিলোমিটারজুড়ে চীন-ভারত সীমান্ত অবস্থিত। দিল্লির দাবি, ২০১৫ সাল থেকে চীনা সেনারা দফায় দফায় ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছে। তবে এবার চীনা প্রেসিডেন্ট যেভাবে সরাসরি যুদ্ধ প্রস্তুতির নির্দেশ দিয়েছেন তাতে পরিস্থিতি শেষ পর্যন্ত কোন দিকে গড়ায় তা সময়ই বলে দেবে।
সূত্র: ডিডব্লিউ, এনডিটিভি।
Discussion about this post