দেশের খ্যাতনামা দ্বীনি প্রতিষ্ঠান বায়তুশ শরফের পীর বাহরুল উলুম আলহাজ হযরত মাওলানা মুহাম্মদ কুতুব উদ্দিন (৮৫) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিউন)। আজ বুধবার বিকেল ৫টায় ঢাকার ধানমণ্ডিতে আনোয়ার খান মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
মাওলানা কুতুব উদ্দীন দীর্ঘ দিন ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপে ভুগছিলেন। সোমবার (১৮ মে) তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করানো হয়। পরদিন মঙ্গলবার রাতে তাঁকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।
বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী হওয়ার কারণে তিনি ধর্মীয় মহলে বাহরুল উলুম (জ্ঞানের সাগর) নামেও পরিচিত।
মাওলানা কুতুব উদ্দীন চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার আধুনগর ইউনিয়নের সূফী মিয়াজী পাড়া গ্রামের সন্তান। লেখাপড়া করেছেন চুনতী হাকিমিয়া আলিয়া মাদ্রাসা ও চট্টগ্রাম শহরের দারুল উলুম আলিয়া মাদ্রাসায়। তিনি ১৯৫৯ সালে স্বর্ণপদক সহ প্রথম বিভাগে প্রথম স্থান অর্জন করে কামিল পাস করেন।
হাদিস বিশারদ ও কুরআনের তাফসিরকারক মাওলানা কুতুব উদ্দীন আরবি, ফার্সি ও উর্দু ভাষাবিদ হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতিমান। কর্মজীবনে তিনি বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে দেশের সেরা অধ্যক্ষের পুরস্কারও অর্জন করেন।
তিনি চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং থানা এলাকার ধনিয়ালা পাড়ায় অবস্থিত বায়তুশ শরফের প্রতিষ্ঠাতা প্রখ্যাত সূফীসাধক মাওলানা মীর মুহাম্মদ আখতার (রহ) এবং বায়তুশ শরফের প্রধান রূপকার শাহ সূফী মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল জব্বার (রহ) এর সান্নিধ্যে অবস্থান করে আধ্যাত্মিক সাধনায় নিমগ্ন হন। ১৯৯৮ সাল থেকে আমৃত্যু তিনি বায়তুশ শরফের পীর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর লিখা একাধিক বিখ্যাত ধর্মীয় গ্রন্থও রয়েছে।
তিনি বায়তুশ শরফ দরবারের পীরের দায়িত্ব ছাড়াও ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের শরিয়াহ বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
শত শত মসজিদ মাদ্রাসা ও এতিমখানার প্রতিষ্ঠাতা আলেমে দ্বীনের ইন্তেকালে পুরো চট্টগ্রামে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।


























