লন্ডনের কিছু কিছু এলাকাকে বলা হয়ে থাকে ‘একখণ্ড সিলেট’। যুক্তরাজ্যে- বিশেষ করে সে দেশের লন্ডন শহরে সিলেটি মানুষেরই বসবাস বেশি। তাই বাংলাদেশর অন্যান্য অঞ্চলের মানুষের চাইতে সিলেটিদের উপরই প্রাণঘাতি করোনার ভয়াল থাবা পড়ছে বেশি। ভয়ঙ্কর করোনাভাইরাসে লন্ডনে এ পর্যন্ত কেড়ে নিয়েছে ৪ সিলেটীর প্রাণ।
সর্বশেষ গতকাল বুধবার (২৫ মার্চ) লন্ডনে স্থানীয় সময় বিকেলে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার এক বৃদ্ধ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত ব্যক্তির বাড়ি সিলেটের দক্ষিণ সুরমায়। তার বয়স ছিলো ৮৫ বছর। বুধবার স্থানীয় সময় বিকেলে লন্ডনের একটি হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত ব্যক্তির আত্মীয় দক্ষিণ সুরমার লাউয়াই এলাকার বাসিন্দা ছয়ফুল ইসলাম জানান, লন্ডনে বসবাসকারী সিলেটের দক্ষিণ সুরমার মোল্লারগাঁও ইউনিয়নের সনুপাড়া গ্রামের মো. পংকি মিয়া কয়েক দিন আগে বার্ধক্যজনিত অসুখের কারণে স্থানীয় ‘লন্ডন রয়েল হসপিটালে’ ভর্তি হন। সেখানে অবস্থানকালেই গত ৩ দিন আগে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। ৩ দিন অপ্রতিরোধ্য ভয়ঙ্কর এই ভাইরাসের সঙ্গে লড়ে অবশেষে তিনি গতকাল স্থানীয় সময় বিকেলে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে পংকি মিয়া স্ত্রী, দুই পুত্র ও ৪ কন্যাসন্তান রেখে গেছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে লন্ডনে এক সিলেটি ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। তিবি পূর্ব লন্ডনের হোয়াইট চ্যাপেল মার্কেটের ভেজিটেবল ব্যবসায়ী খসরু মিয়া (৪৯)। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল দশটায় রয়েল লন্ডন হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন। মরহুমের বাড়ি জগন্নাথপুর উপজেলার শাহারপাড়া গ্রামে। এর আগের দিন (গত সোমবার)করোনায় রয়েল লন্ডন হাসপাতালে হাজি জমসেদ আলী (৮০) নামের একজন সিলেটির মৃত্যু হয়। তিনি সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার ছনগ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
তার আগে (গত শুক্রবার) একই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৌলভীবাজারের একজনের মৃত্যু ঘটে। তিনি মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ মাহমুদুর রহমান (৭০)। যুক্তরাজ্যে সফররত অবস্থায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি।
Discussion about this post