আজ আবুধাবির ক্রাউন প্রিন্স এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের সশস্ত্র বাহিনীর ডেপুটি সুপ্রিম কমান্ডার মহামান্য শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান এর ৫৯ তম জন্মদিন। মোহাম্মদ বিন জায়েদ ১৯৬১ সালের ১১ ই মার্চ আরব আমিরাতের আল আইনে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রথম রাষ্ট্রপতি এবং আবুধাবির শাসক জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের তৃতীয় পুত্র। সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রপতি শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের ভাই।
শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত আমিরাতের আল আইন ও আবুধাবির স্কুলগুলিতে পড়াশোনা করেন। ১৯৭৯ সালে তিনি মর্যাদাপূর্ণ রয়্যাল মিলিটারি একাডেমি সানহার্স্টে যোগ দিয়েছিলেন, সেখানে তিনি বর্ম, হেলিকপ্টার উড়য়ন এবং প্যারাট্রোপের প্রশিক্ষণ নেন।
১৯৭৯ সালের এপ্রিলে স্নাতক শেষ করার পর তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের আরব আমিরাতের শারজায় অফিসার্স ট্রেনিং কোর্সে যোগ দিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ফিরে আসেন। আমিরাত সেনাবাহিনীর আমিরি গার্ডের (ইউএইর অভিজাত সুরক্ষা বাহিনী) কর্মকর্তা এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিমান বাহিনীর পাইলট থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সশস্ত্র বাহিনীর ডেপুটি সুপ্রিম কমান্ডার সহ তিনি বেশ কিছু রাষ্ট্রীয় কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
২০০৩ সালের নভেম্বরে তাঁর বাবা শেখ জায়েদ বিন সুলতান শেখ মোহাম্মদকে আবুধাবির ডেপুটি ক্রাউন প্রিন্স নিযুক্ত করেছিলেন। পিতার মৃত্যুর পরে ২০০৪ সালের নভেম্বরে তিনি আবু ধাবির ক্রাউন প্রিন্স হন এবং ২০০৫ সালের জানুয়ারিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সশস্ত্র বাহিনীর উপ-সর্বোচ্চ কমান্ডার নিযুক্ত হন। পরবরর্তীতে তাকে জেনারেল পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়। ডিসেম্বর ২০০৪ সাল থেকে তিনি আবুধাবি এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের চেয়ারম্যানও ছিলেন। তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রপতি খালিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ান, তাঁর বড় ভাইয়ের বিশেষ উপদেষ্টা হিসাবেও কাজ করছেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বর্তমান রাষ্ট্রপতি শেখ খলিফা বিন জায়েদের অসুস্থতার কারনে আল নাহিয়ান সংযুক্ত আরব আমিরাতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।
মোহাম্মদ বিন জায়েদ ১৯৮১ সালে শেখা সালামা বিনতে হামদান বিন মোহাম্মদ আল নাহায়ানের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। তাঁর চার ছেলে এবং পাঁচ মেয়ে রয়েছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমিরাত সফরকালে আবুধাবির ক্রাউন প্রিন্সের আতিথিয়তা মুগ্ধ করেছে সবাইকে। তাঁর জন্মদিনে অনেক অনেক শুভ কামনা।
Discussion about this post