শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্মাল স্ক্যানিং মেশিন তিনটির মধ্যে দুইটি নষ্ট হয়ে গেছে । এর মধ্যে একটি ভিআইপি গেইটের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান। তিনি জানান, এতে করোনা শনাক্তে প্রভাব পড়বে না। শুধু বিমানবন্দর নয় ক্যান্টমেন্ট রেলস্টেশনেও নেই থার্মাল স্ক্যানিং মেশিন। এ বিষয়ে কিছুই জানেনা স্টেশন মাস্টার। যে পথ দিয়ে ভারত থেকে যাত্রীরা দেশে আসে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, কারো অবহেলায় বিদেশ থেকে আগত কোন যাত্রীর মাধ্যমে দেশে করোনা ভাইরাস ছড়ালে তা হবে দূর্যোগ।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর। যেখানে গড়ে প্রতিদিন আসা যাওয়া করে প্রায় ৩০ হাজার যাত্রী। করোনা ভাইরাস আতঙ্কে যাত্রী কমলেও এখনও যারা আসছেন তাদের মাধ্যমে যাতে ভাইরাস না ছড়ায় সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। তবেউদ্বেগের বিষয় হলো, ভাইরাস নির্ণয়ে বিমানবন্দরে থার্মাল স্ক্যানার আছে মাত্র তিনটি। যার মধ্যে দুটিই নষ্ট। এর একটি ভিআইপি গেইটে। যেপথে যাতায়াত করেন মন্ত্রী, এমপিসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা।
সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান জানান, করোনা ভাইরাস ঠেকাতে শুধু চীন নয় এখন সব দেশের যাত্রীদেরই স্ক্যানিং করা হচ্ছে। রোগের লক্ষণ ছাড়াও, যাত্রীদের শরীরে থাকতে পারে করোনা ভাইরাস। তাদের শনাক্তে সমাধান নেই কারও কাছেই। শুধু বিমানবন্দর নয়, রেলপথে ভারত থেকে আসা যাত্রীদের ইমিগ্রেশন হয় ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে। করোনা শনাক্তে সেখানে নেই কোনো থার্মাল স্ক্যানার। এ বিষয়ে তেমন কিছু জানা নেই স্টেশন মাস্টারের।
Discussion about this post