ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে মাইক্রোবাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে বিয়ানীবাজারের রুহুল আমিন (৩৫) নামের এক আমেরিকা প্রবাসী নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় চালক ও এক মহিলাসহ ৫ জন আহত হয়েছেন।
রুহুল আমিন। দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করে আসছিলেন। সে দেশের গ্রীণকার্ড পাওয়ার জন্য ২৪ বছর কাটিয়ে দিয়েছিলেন। এই সময়ে নিজ জন্মভূমি, দেশে থাকা মা-বাবা, আত্মীয়-স্বজনদের জন্য তার মন কাঁদতো। কিন্তু গ্রীণকার্ড নিয়েই দেশে ফিরবেন- এমনটাই পণ করেছিলেন। ২৪ বছর পর সেই গ্রীণকার্ড পেয়েই দেশে ফিরে এসেছিলেন রুহুল আমিন।
কিন্তু দেশে ফিরলেও আর বাড়ি পৌঁছাতে পারেননি। তার আগেই মর্মান্তিক এক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে তার। বাড়িতে গেছে তার নিথর দেহ।
দীর্ঘদিন পর দেশে ফেরার ব্যাপারে রোমাঞ্চিত ছিলেন রুহুল আমিন। তিনি ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘২৪ বছর পর বাংলাদেশে যাচ্ছি’।
ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে নিতে এসেছিলেন বাবা-মা ও স্বজনরা। নিজের বাড়ি সিলেটে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান রুহুল। বুধবার রাতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের হবিগঞ্জের মাধবপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রুহুল আমিন সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার কুড়ারবাজার ইউনিয়নের বৈরাগিবাজার খশির নামনগর গ্রামের আলিম উদ্দিনের ছেলে। দুর্ঘটনায় রুহুলের পরিবারের আরও চার সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, ঢাকামুখী ট্রাকের ধাক্কায় রুহুল আমিনদের বহনকারী হাইয়েস গাড়িটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান আমেরিকা প্রবাসী রুহুল। নিহতের স্বজনরা জানান, নাগরিকত্বের আশায় রুহুল আমিনের ২৪টি বছর কেটেছে আমেরিকায়। অবশেষে নাগরিকত্ব পেয়ে দেশেও ফিরেছেন। কিন্তু জন্মমাটি সিলেটের বিয়ানীবাজারে ফেরার পথেই মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-মায়ের চোখের সামনেই প্রাণ হারান তিনি।
Discussion about this post