জাহাজ দুর্ঘটনায় নিহত হন জাহিদা খাতুনের স্বামী মুসলিম মিয়া। গ্রামের বাড়ি শ্রীমঙ্গলের গাজীপুরে দাফন শেষে চট্টগ্রাম ফিরছিলেন জাহিদা। তার সঙ্গে ছিল শাশুড়ি আর দুই ছেলে। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস! বাড়ি ফেরা হল না জাহিদারও। সোমবার রাত পৌনে ৩টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের মন্দভাগ রেলওয়ে স্টেশনে উদয়ন এক্সপ্রেসে তূর্ণা নিশীথার ধাক্কায় ১৬ জন নিহত হন। তাদের একজন জাহিদা। তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। তার আহত দুই ছেলেকে কুমিল্লা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং গুরুতর আহত শাশুড়িকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে এক জাহাজ দুর্ঘটনায় মুসলিম মিয়া নিহত হন। স্বামীর দাফন শেষ করে জাহিদা তার শাশুড়ি ও দুই ছেলেকে নিয়ে উদয়ন এক্সপ্রেসে করে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় মন্দভাগ রেলওয়ে স্টেশনের সিগন্যালে উদয়ন এক্সপ্রেসকে ধাক্কা দেয় ঢাকা-চট্টগ্রামগামী তূর্ণা নিশীথা।
এদিকে কসবার এ ঘটনায় বহু যাত্রী আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে আটজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের সদস্যরা নিহতেদের হাতের আঙুলের ছাপ নিয়ে তাদের পরিচয় শনাক্ত করছেন। তবে হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়ার আশংকা করা হচ্ছে। এরইমধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন ডিসি হায়াত উদ-দৌলা খান।
Discussion about this post