সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশী জনতা ব্যাংকের আমিরাত শাখার ঋণ খেলাপির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া নির্দেশ দিয়েছেন আমিরাতে সফররত বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মুহাম্মদ আসাদুল ইসলাম। গত বুধবার রাতে জনতা ব্যাংক আবুধাবি শাখা কার্যালয়ে প্রবাসীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ নির্দেশনা প্রদান করেন মাননীয় সচিব ।
আমিরাতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা মোতাবেক ২.৭ পার্সেন্ট ঋণ খেলাপী থাকার বিধান থাকলেও বর্তমানে জনতা ব্যাংকে ২১ পার্সেন্ট ঋণখেলাপী হয়েছে। জনতা ব্যাংকের ৪টি শাখায় ১৬১ জন প্রবাসীর কাছে এই ঋণ খেলাপী রয়েছে । ঋণ পরিশোধ না করে কেউ পালিয়ে থাকতে পারবে না, দেশে গেলে সেখানেও তাদের আইনের মুখোমুখি হতে হবে। তাই ব্যাংককে এসে দ্রুত ঋণ পরিশোধ করতে খেলাপিদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। ঋণগ্রহীতারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিজেদের ঋণ পরিশোধ না করলে তাদের নাম ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে বলে এসময় সর্তক করেন এই কর্মকর্তা।
সচিব আরো জানান প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের ওপর সরকার ঘোষিত ২% প্রণোদনা চলতি বছরের পহেলা জুলাই থেকে কার্যকর বলে গণ্য হবে। এ খাতের জন্য ২০১৯-২০ বাজেটে তিন হাজার কোটি টাকার প্রবিশন রাখা হয়েছে। অক্টোবর-নভেম্বর থেকে গ্রাহক পর্যায়ে তা দেওয়া শুরু হলে বেনিফিশিয়ারি বা ভোক্তার অ্যাকাউন্টে জুলাই থেকে পাঠানো টাকার বিপরীতে ইন্সেন্টিভ এরিয়ার হিসেবে জমা হবে।
সভায় জনতা ব্যাংক আবুধাবি শাখার প্রধান নির্বাহী ও মহাব্যবস্থাপক আমিরুল হাসান আমিরাতের বিভিন্ন স্থানে বসানো সাতটি এটিএম, কল সেন্টার, ব্যাংকিং সফটওয়্যার ও মোবাইল ব্যাংকিং সেবার কথা তুলে ধরেন। কিছুদিনের মধ্যে প্রবাসীদের জন্য জীবন বীমা সেবা চালু করা হবে।’
আলোচনায় আরও অংশ নেন জনতা ব্যাংকের আবুধাবি শাখা ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আবদুল হাই, আশীষ বড়ুয়া, মইন উদ্দীন, ফখরুল ইসলাম খান, মোহাম্মদ জোবায়ের, মাহবুব খোন্দকার ও আরিফুর রহমান খান।
সিআইপি ফখরুল ইসলাম খান, বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইউএইর সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ মোরশেদ আলম, সহ সভাপতি রফিক উল্লাহ ও সাংবাদিক জাহাঙ্গীর কবির বাপ্পি সহ বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ইউবিকোর একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মুহাম্মদ আসাদুল ইসলাম গত মঙ্গলবার আরব আমিরাতে আসেন।
Discussion about this post