মুহাম্মদ মোরশেদ আলম, আবুধাবী: ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশীদের একমাত্র নিবন্ধিত সংগঠন বাংলাদেশ সমিতি।
গতকাল ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য প্রদান, পবিত্র খতমে কোরআন ও আলোচনা সভার মধ্যে দিয়ে জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশ সমিতি। সমিতির সহ যুগ্ন সম্পাদক প্রকৌশলী আশিষ কুমার বড়ুয়ার পরিচালনায় ও সংগঠনের সভাপতি প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেনের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আমিরাতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ডাক্তার মুহাম্মদ ইমরান। প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের যুগ্ন সম্পাদক নাছির তালুকদার। স্বাগত বক্তব্যে রাখেন সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ শামসুল হক মিজান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন শেখ যায়েদ ইউনিভার্সিটির প্রফেসর হাবীবুল হক খন্দকার, বঙ্গবন্ধু পরিষদ আবুধাবীর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইমরাদ হোসেন ইমু, জনতা ব্যাংক আবুধাবী শাখার ম্যানেজার মুহাম্মদ আবদুল হাই, গোলাম কাদের ইফতি, উত্তম হাওলাদার, বশির ভূইয়া, শেখ রুহুল আমিন, মুহাম্মদ জাকের হোসেন জসিম, লুৎফর রহমান, ফজলে করিম চৌধুরী, আবদুস সামাদ, শাহেদ নুর, সজল চৌধুরী, আকতার হোসেন রাজু, শেখ কামাল, আইয়ুব খান সহ আমিরাতের বিভিন্ন অংগ সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন দূতাবাসের প্রথম সচিব রেয়াজুল হক, প্রথম সচিব জুবায়েদ হোসেন, বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইউএই’র সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ মোরশেদ আলম ও সাংবাদিক মুহাম্মদ আবদুল মন্নান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত বলেন ১৯৭৪ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আমিরাতের সফরের সময় বাংলাদেশ সমিতি ইউএই গঠিত হয়। এটি বঙ্গবন্ধুর আমিরাত সফরের ফসল। তাই এ সমিতির মাধ্যমে জাতির জনকের শোক দিবস সহ জাতীয় সব অনুষ্ঠান পালন করতে হবে, র্দীঘদিন পরে হলেও বাংলাদেশ সমিতির আয়োজনে এই প্রথম জাতির জনকের শোক সভা পালন করায় তিনি সমিতির আয়োজক বৃন্দকে ধন্যবাদ জানান।
সমিতির সভাপতি প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন বাংলাদেশ সমিতি কোন রাজনৈতিক সংগঠন নয়। এই সংগঠনে আমরা সবাই বাংলাদেশী। এটা আমিরাতের সকল প্রবাসীর সংগঠন। আজকে জাতির জনকের শোক দিবস পালন করতে পেরে আমি অত্যান্ত আনন্দিত এবং আমার ১০টি ধাপের মধ্যে ১টি সম্পন্ন হয়েছে বাকী ৯টিও পূরণ হবে ইনশাআল্লাহ। তিনি আরো বলেন প্রতি বছর জাতির জনকের শোক দিবস সহ দেশের সব জাতীয় উৎসব পালন করবে বাংলাদেশ সমিতি।সুতরাং কারো বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই।
সভাশেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন মৌলানা মমতাজুল হক ।
