শাহাদাত হোসেন, মালদ্বীপ : বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি পরিবারের কেউ বিদেশ থাকেন পরিবারের আর্থিক সাপোর্ট দেয়ার জন্য। প্রায় সোয়া কোটি বাংলাদেশী পৃথিবীর নানান প্রান্তে ছড়িয়ে আছেন। সে হিসাবে মালদ্বীপ ও কোনোভাবেই পিছিয়ে নেই। সঠিক পরিসংখ্যান যদিও অজানা তারপরেও ধারণা করা যায় যে মালদ্বীপে প্রায় ৮০ হাজারের ও বেশি বাংলাদেশী প্রবাসী অবস্থান করছে। মালদ্বীপে যারা রিসোর্টের অথবা ভালো কোম্পানিতে আছেন তারা অনেকে ভালো অবস্থানে আছেন ।
মালদ্বীপে প্রবাসীদের বড় সমস্যা হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে এসেও পাচ্ছে না ঠিকমতো বেতন অথবা ভালো একটা কাজ। যারা মালদ্বীপে ওয়ার্ক ভিসায় এসে কাজ করতে চান তারা অবশ্যই নিম্নোক্ত সর্তকতা অবলম্বন করুন:
√ মালদ্বীপে আসার আগে আপনার ভিসা সঠিক কিনা ভালোভাবে যাচাই করুন।
√ মালদ্বীপস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের সাথে ও যোগাযোগ করতে পারেন আপনার ভিসা সঠিক কিনা ।
√ দালালদের প্রলোভন থেকে সাবধানতা অবলম্বন করুন।
√ যদি কোন দালাল থেকে ভিসা ক্রয় করেন তাহলে ওই দালালের পাসপোর্ট কপি সংগ্রহ করুন।
√ বেতন কত আর ডিউটির সময় সূচি ভালোভাবে জেনে আসবেন। ( অনেক দালাল বলবে বেতন ৪০ থেকে ৫০ হাজার কিন্তু আসার পরে দেখা যায় মাত্র ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আর ডিউটির কোন হিসাব নেই)
√ অবশ্যই জানতে ভুল করবেন না আপনার কর্মস্থলের নাম। যদি আপনি আপনার কর্মস্থলের নাম না জানেন তাহলে আপনার ভিসা উঠেছে এক জায়গার নামে কিন্তু আপনাকে পাঠাবো অন্য জায়গায় কাজ করতে।
√ যদি কোন দালাল আপনাকে বলে আপনাকে আসার সময় ইন্ডিয়া হয়ে আসতে হবে এবং ইন্ডিয়াতে কয়েকদিন অবস্থান করতে হবে তাহলে বুঝতে হবে আপনাকে অবৈধভাবে নিয়ে আসতেছে মালদ্বীপে। এভাবে আসতে মালদ্বীপস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে কঠোরভাবে নিষেধাজ্ঞা আছে। এভাবে মালদ্বীপে এসে যদি আপনি কোন প্রকার বিপদে পড়েন তাহলে দূতাবাস আপনাকে কোন ধরনের সহযোগিতা করার দায়িত্ববদ্ধ নয়।
√ ফ্রি ভিসা বলতে কোন ভিসা নেই। প্রতিটি ফ্রি ভিসা কোন না কোন এজেন্ট অথবা কোম্পানির নামের উপর উঠে। ফ্রি ভিসার নামে যারা আসতেছেন নিশ্চিত করুন আপনার কোটা কত বছরের?
√ অনেক ফ্রি ভিসা আছে যা cancel হয়ে যায় প্যাসেঞ্জার মালদ্বীপে আসার পরপরই। অথবা ৩ মাস পর অথবা এক বছর পর।
√ ফ্রি ভিসার নামে যারা আসতে ইচ্ছুক আপনারা আপনাদের এজেন্ট অথবা দালালদের সাথে নিশ্চিত করুন আপনাদেরকে কাজ প্রদানের জন্য।
√ অনেক দালাল আছে যারা তাদের প্যাসেঞ্জার কে রিসিভ করতে এয়ারপোর্ট ও যায় না। আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় দালালরা তাদের নতুন প্যাসেঞ্জার কে কোন একটা গেস্ট হাউসে রেখে পালিয়ে যায় কোন প্রকার আইডি কার্ড অথবা কাজের ব্যবস্থা না করে।
প্রিয় ভাইয়েরা বিদেশ যদি আসতে চান তাহলে অবশ্যই সবকিছু যাচাই করবেন। আপনার একটা ভুলের কারণে যাতে আপনার জীবন এবং আপনার ফ্যামিলি ধ্বংস না হয়ে যায়।
Discussion about this post