জমে উঠেছে বিশ্বকাপে সেমির লড়াই। সেমির দৌড়ে এখন বাংলাদেশের সামনে নানান সমীকরণ। বিশ্বকাপে নিজেদের আগামী ও শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ড যদি জিতে যায় তারপরেও সেমিফাইনালে খেলার সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের। কি শুনে অবাক হচ্ছেন? জানতে ইচ্ছে করছে কিভাবে? তাহলে চলুন একটু মিলিয়ে নেই… বর্তমানে নিউ জিল্যান্ড এবং ইংল্যান্ড আটটি করে ম্যাচ খেলেছে। এরমধ্যে নিউ জিল্যান্ডের পয়েন্ট হচ্ছে ১১ আর ইংল্যান্ডের পয়েন্ট ১০।
দুই দলেরই মাত্র একটি করে ম্যাচ বাকি রয়েছে। আর শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে তারাই। অর্থাৎ ইংল্যান্ড বনাম নিউ জিল্যান্ড। এই ম্যাচে যদি ইংল্যান্ড জিতে যায় সেক্ষেত্রে নিউ জিল্যান্ডের পয়েন্ট ১১-ই থাকবে। এবার আসি বাংলাদেশ প্রসঙ্গে। বাংলাদেশের বর্তমান পয়েন্ট হল ৭। ম্যাচ বাকি রয়েছে দুটি। ওই ওই দুই ম্যাচে যদি বাংলাদেশ জয় পায় সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের পয়েন্ট দাঁড়াবে ১১।
তাহলে কি দাঁড়ালো? বাংলাদেশের আর নিউ জিল্যান্ডের পয়েন্ট সমান। অর্থাৎ ১১ পয়েন্ট করে। দুই দলের পয়েন্ট সমান হলে রানরেটের হিসেব আসবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশকে পরবর্তী দুটি ম্যাচের মধ্যে কমপক্ষে একটি ম্যাচ বড় ব্যবধানে জিততে হবে। তাহলেই বাদ যাবে নিউ জিল্যান্ড আর সেমিফাইনাল খেলবে বাংলাদেশ। আবার ভারতের বিপক্ষে জয়ের পর যদি কোহলিরা নিজেদের শেষ ম্যাচেও শ্রীলংকার বিপক্ষে মুখ থুবড়ে পড়ে তাহলে বাংলাদেশ-ভারতেরও ৯ ম্যাচ শেষে পয়েন্ট দাড়াবে ১১। তখন ভারতের সঙ্গেও নেট রান রেট হিসাব চলে আসবে বাংলাদেশের।
যদি নিউ জিল্যান্ডের কাছে ইংল্যান্ড হেরে যায় আর নিজেদের বাকি দুটি ম্যাচে জয় পায় বাংলাদেশ তাহলে কোন রকম হিসাব ছাড়াই সেমি ফাইনাল খেলবে টাইগাররা।
তবে অতসব হিসেবে না গিয়ে টাইগার সর্মথকরা চায়, কারো দিকে না তাকিয়ে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করেই সেমিফাইনাল খেলুক বাংলাদেশ। জয় পরাজয় আছেই। তবুও টাইগার দের জন্য রইলো শুভকামনা।
Discussion about this post