ইশতিয়াক আসিফ: পৃথিবীর একমাত্র সর্বপ্রথম সম্পূর্ণ কোরআনের আলোকে তৈরী দুবাই’র আল খাওয়ানিজ এ কোরআনিক পার্ক গত ৩০শে মার্চ উদ্বোধন করা হয় এই পার্ক। ৬০ হেক্টর জমির উপর এই পার্কের স্হাপনাটি রয়েছে। গেইট দিয়ে ডুকে প্রথমেই দেখতে পাবেন একটি রাস্তা যেটি গাড়ি চলাচলের জন্যে না শুধুমাত্র চাইকেল আরোহী এবং কেউ হাটতে বা দৌড়াতে পারে সেজন্য আলাদা আলাদা রোড রাখা হয়েছে।
প্রতিদিন বিকালে অনেকেই ফ্যমিলি নিয়ে এবং ব্যচেলর আসেন। তবে বৃহস্পতিবার, শুক্রবার এবং শনিবার অসংখ্য দর্শনার্থী আসে এই কোরআনিক পার্কে। পার্কে প্রবেশে ফ্রি, তবে পার্কের ভিতরে গ্লাস ঘর(glass house) এবং গুহা(cave) এই’দুটোতে প্রবেশের জন্যে ৫ দেরহাম করে নেওয়া হচ্ছে তাও আর.টি.এ এর নল কার্ডের মাধ্যমে।দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে পার্কে একটি ডিজিটাল ম্যাপও আছে।
ভীতরে রাস্তার দু’পাশে সুন্দর সুন্দর গাছ এগুলো কোন গাছ না এগুলো কৃত্রিম ভাবে বানানো হয়েছে প্রত্যেকটি গাছেই রয়েছে কোরআনের আয়াত । তবে আপনার মোবাইলে চার্য না থাকলে গাছ গুলোর নিচে বসে মোবাইল চার্য করার সু-ব্যবস্হাও রয়েছে। পবিত্র কোরআনের আলোকে দুবাইয়ে এরা চেষ্টা করেছেন পার্ক টি তৈরী করতে। কাচের ঘর বা Glass house এ আপনি দেখতে পাবেন সম্পূর্ণ এই ঘর ঝুড়ে কোরআনে যত প্রকার উপকারী বা ঔষধী গাছের কথা বলা হয়েছে এবং আল্লাহর নবীগণরা যে শাক সবজ্বী খেয়ে জীবন যাপন করতেন তার অধিকাংশ এখানে রাখার প্রচেষ্টা করা হয়েছে, মোট ৫৪ টি উদ্ভিদ এখানে রয়েছে।
ফেরাউনের সময় যখন মুসা আঃ কে বাচাঁনোর জন্যে আল্লাহ সাগরের পানিকে দু ভাগ করেছিল সেই আলোকে এইখানে একটি নমুনাও তৈরী করা হয়েছে, যার দুপাশে পানি আর মধ্যখানে একটি রাস্তা রয়েছে।
পাহাড়ের গুহা বা cave ডুকার পর আপনাকে পর পর যথাক্রমে নবী ওজায়ের আঃ এর পুনরায় জীবিত হওয়া, ঈসা আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মৃতকে পুনরুজীবন, নবী সোলাইমান আঃ হুদ হুদ পাখির কাহিনি, নবী সোলাইমান আঃ পিপড়াদের উপত্যকা এবং কাদামাটি হতে পাখি সৃষ্টি,ইব্রাহিম আঃ এর খন্ডিত পাখি,নবী হযরত মোহাম্মদ সাঃ এর চাঁদ কে বিভক্ত করার উপর আলাদা আলাদা ৭ টি ভিডিও দেখানো হয়।
এসব ভিডিও গুলো দেখানোর পূর্বে প্রত্যেকটি রুমে যাওয়ার আগে লেজার এর মাধ্যমে পাহাড়ের দেয়ালে দেখতে পাবেন যে নবীর ঘঠনা দেখানো হবে তার নাম এবং ঘঠনার সক্ষিপ্ত বিবরণ ও লেজার দিয়ে তৈরী অসাধারন ঝর্না।
Discussion about this post