আজ শনিবার (২৫ মে) ১১ জ্যেষ্ঠ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২০তম জন্মবার্ষিকী। বাংলা ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ বর্ধমান জেলার আসানসোলের জামুরিয়া থানার চুরুলিয়া গ্রামে নজরুল জন্মগ্রহণ করেন। তার ডাক নাম ‘দুখু মিয়া’। বাবার নাম কাজী ফকির আহমেদ ও মাতা জাহেদা খাতুন।
তিনি বিদ্রোহী কবি হিসেবে পরিচিত হলে ও মূলত প্রেম-দ্রোহ, সাম্য-মানবতা ও শোষিত মানুষের মুক্তির কবি। তিনি আজীবন আত্মমুক্তির সাধনা করেছেন। নিজকে জানার, চেনার, আবিষ্কার করার ধ্যানে মত্ত ছিলেন। যৌবনের জয়গান গেয়েছেন। শতাব্দির সংস্কারক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। ছন্নছাড়া এবং বাঁধনহারা জীবনে নতুন কিছুর প্রত্যাশা তাঁকে সৃষ্টির নেশায় ব্যাকুল করেছিলো। সেই ব্যাকুলতা থেকেই তিনি কখনো বিপ্লবী, কখনো প্রেমিক, কখনো সাধক, কখনো নেতা, কখনো সৃষ্টি সুখের উল্লাসে মুখর, কখনো মহাকালের পরিব্রাজক, কখনো আধ্যাত্মিক উপাসক সর্ব্বোপরি আত্মমুক্তির নেশায় বিভোর।
মহামানবের মহামুক্তির মোহে তিনি উন্মাতাল ছিলেন। বিশুদ্ধ মানবের তপস্যা করেছেন। ধর্ম আর মতবাদের বাইরে এসে আসল মানুষ, অলখ মানুষ, মন মনুরা, মনের মানুষ আর মানুষ রতন ধরার চেষ্টায় আত্মনিয়োগ করেছিলেন। মানব সাধনার মহা সাধক তিনি।বাঙালির স্বাধীকার আন্দোলনের মহাপুরুষও তিনি। বাঙালির আত্মপরিচয়ের কেন্দ্রবিন্দু নজরুল।
বাংলায় সর্বোচ্চসংখ্যক তিন সহস্রাধিক গানের স্রষ্টা কাজী নজরুল ইসলাম। নিজস্ব ধারার সঙ্গীত রচনা করেছেন তিনি। প্রকৃত অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উদ্ভাসিত কবি মানুষের সংকীর্ণতা, দীনতা, মূঢ়তা ও নীচতাকে মনেপ্রাণে ঘৃণা করেছেন। শোষিত মানুষের মুক্তির প্রথম বার্তাবাহক কবি নজরুলের লেখা কবিতা-গান আমাদের স্বাধীনতা-সংগ্রামে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।
শুভ জন্মদিন মহাকালের মহানায়ক।
Discussion about this post