এই সময়ের আলোচিত ব্যাক্তি হিরো আলম।সম্প্রতী একাদশ জাতীয় নির্বাচনে জাতীয় পার্টির পক্ষে মনোনয়ন সংগ্রহ করেন। কিন্তু কে এই হিরো আলম। বগুড়ায় তার বাড়িতে গিয়ে দেখা মিলে তার বাবা আব্দুর রাজ্জাক (সৎ বাবা), মা আশরাফুন বেগম, স্ত্রী সাবিহা আক্তার সুমি, বড় মেয়ে ২য় শ্রেণির ছাত্রী আলোমনি, মেজ মেয়ে ১ম শ্রেণির ছাত্রী আঁখি আলো এবং ৪ বছরের ছেলে আবির হোসেনের সঙ্গে।
এরুলিয়া ইউনিয়নের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ মন্ডল। একাধারে ৫ বার তিনি ওই এলাকার চেয়ারম্যান। জানতে চাইলে একগাল হাসলেন। তারপর বললেন এক বছর আগে ওর শালি (স্ত্রীর ছোট বোন) বিলকিসকে নিয়ে পলাসলো। সেই বিচার করে দেয়া লাগছে। আর বিচারতো হামাক মাঝে মধ্যেই করা লাগে। ট্যাকা লিয়্যা দুই একদিন পরপরই ঝামেলা লাগায়। তারপরেও এলাকার ছ্যোল, ভালোই আছলো। তাই ক্যামা আবার লির্বাচন করিচ্ছে। আসলে মাতা পাগলা হলে ইংকাই হয়। এটি মেম্বরত উটবার পারেনি। আবার জাতীয় লির্বাচন। আসলে এনা ট্যাকা হচে তো। গরমে থাকপার পারিচ্চে না।
হিরো আলমের বাড়ির ঠিক সামনের বাড়ির বয়স্ক ৩ জন নারী জানালেন, ওই দেকেন এখনো গাছত আলমের পোস্টার ঝুলিচ্চে। মেম্বর ভোট করার পোস্টার। হমরা এলাকার মানুষ হিসেবে ভোট দিসনু। তাও উটপার পারেনি। তবে ছোলডা ভালো। খালি এনা বিটিছোলপোল লিয়্যা নাচ গান করার অব্যাশ (অভ্যাস) আছে।
বর্তমান সময়ে এখন সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তি বগুড়ার হিরো আলম। যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ইউটিউবে ভিডিও আপলোডের মাধ্যমে ঝড় তুলেছেন তিনি। ঠিক তেমনি সংসদ সদস্য পদে মনোনয়ন তুলে সারাদেশের মতো নন্দীগ্রাম-কাহালুতেও আলোচনায় এসেছেন। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে অফিসপাড়ায় তাকে নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। যারা তাকে দেখেননি তারা নতুন প্রজন্মের কাছে নাম শুনেই চিনে নিচ্ছেন।
আসলেই তিনি আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে মহাজোটের প্রার্থী হতে পারবেন কীনা তা নিয়েও চলছে হিসাব-নিকাশ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এলাকার তরুণ প্রজন্ম হিরো আলম সম্পের্কে জানলেও প্রবীণরা তাকে চেনেই না। প্রবীণদের কাছে হিরো আলম সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তারা বলেন বর্তমান প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগ-বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা যেভাবে এলাকায় গণসংযোগ করেছেন হিরো আলম বগুড়া-৪ আসনে গণসংযোগ করেননি। এমনকি তার নিজ দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ নেই।
সেলিব্রেটিবিডি/ এইচআর
Discussion about this post