জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত চলচ্চিত্র নির্মাতা তরুণ কবি মাসুদ পথিক তার ‘নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ’’ সিনেমা দিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ১১ টি পুরস্কার পেয়েছেন।‘মায়া দ্য লস্ট মাদার’ নামের সিনেমাটি নির্মাণ শেষে মুক্তির অপেক্ষায়। এবং ‘কবিগাছ’ ‘বক দ্য সিনেমা’ ও ‘লাশকাটা ঘর’ নামের সিনেমা নির্মানাধীন। পরিচালক মাসুদ পথিকের সঙ্গে কথা হয় তার সাম্প্রতিক কাজ নিয়ে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন শাহাদাত হোসেন তৌহিদ।
সেলিব্রেটিবিডি: আপনি তো মূলত কবি, এবং কবিতা নিয়ে আপনি সিনেমা নির্মাণ করেছেন? কবিতা নিয়ে কেনো?
মাসুদ পথিক: আমি মূলত কবি। কবিতাই আমার আভীষ্ট। আর আমি সিনেমাকেও কবিতাই মনে করি। ভালো সিনেমা মানেই কাব্যিক ইমেজারি। কাব্যিক ডিটেইল। ইমেজিক মনতাজ। পোয়েটিক র’রিয়ালিজম।
সেলিব্রেটিবিডি: আপনার ‘মায়া দ্য লস্ট মাদার’ আপডেট কি?
মাসুদ পথিক: মায়া দ্য লস্ট মাদার’ নির্মাণ শেষ। সুবিধাজনক সময় রিলিজ দিবো। সেটা অবশ্যই ২০১৮ সালে হবে।
সেলিব্রেটিবিডি: ‘কবিগাছ’ ‘বক দ্য সিনেমা’ এবং ‘লাশকাটা ঘর’ কবে থেকে শুরু করবেন?
মাসুদ পথিক: বক দ্য সিনেমা’ অচিরেই শুটিং শুরু হবে। প্রি-প্রোডাকশনের কাজ শেষ, এখন ডেট ঠিক করে শুটিং যাবারর পালা। বিশেষ করে সেট নির্মাণ চলছে। আর কিছু চরিত্রকে প্রস্তুত করছি।
সেলিব্রেটিবিডি: আমরা জানি দীর্ঘদিন বঙ্গবন্ধু নিয়ে গবেষণা করছেন। তাঁকে সিনেমা নির্মাণের কতোদূর?
মাসুদ পথিক: আমি ১৮ বছর ধরে বঙ্গবন্ধু নিয়ে গবেষণা করেছি। এর ধারাবাহিকতায় ‘বঙ্গবন্ধু এবং ১৫ আগস্টের ট্রাজেডি নিয়ে ‘১০ টি ‘মাতৃভূমি’ সম্পাদনায় যুক্ত ছিলাম। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বার্ষিক এই মুখপত্র কলেবর বেশ, এবং নানন্দিক। তাছাড়া ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে নিয়ে তথ্যচিত্র ‘আলোর পথের সারথি’ নির্মাণ করেছি। এখানেও গবেষণা করতে হয়েছে। যা প্রস্তুতির একটা অংশ। মূলত আমার লক্ষ্য হলো বঙ্গবন্ধু কে নিয়ে সিনেমা নির্মাণ। এর জন্য আমি নিজেকে ছাড়াও আরো ১১জন গবেষক নিয়োগ করেছি। যদি অনুমতি ও প্রযোজক পাই তবে সিনেমার কাজ শুরু করে দিবো।
সেলিব্রেটিবিডি: বঙ্গবন্ধু সিনেমা অলরেডি সিনেমা নির্মাণ হচ্ছে আপনি নিশ্চয় জানেন? তাহলে আপনি কিরকম সিনেমা নির্মাণ করবেন?
মাসুদ পথিক: জানি। আমি শুভকামনা জানাবো সে উদ্যোগকে। আসলে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একাধিক সিনেমা হতে পারে। আমি আমার মতোই নির্মাণ করবো। আশা করি আমারটা আলদা টাইপ হবে। কেননা আমি বঙ্গবন্ধুকে পারিবারিকভাবেই বিলঙ করি। বিশেষ করে তার ফেলোসফি, স্পিরিট, কমিটমেন্ট, লিডারশীপকে গভীরভাবে, ডেপত্থে গিয়ে ধরতে চাই। মূলত দার্শনিক চৈতন্য এটাই মূল হবে। আর এটা মন ও মননে বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রেম না থাকলে ধরা সম্ভব না। অনেকে অনেক উদ্দেশ্যে তাঁকে সিনেমা নির্মাণ করতে চাইতেই পারে। দেখলাম এক দুজন ওয়ান এ্যালিবেনের সময় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটুক্তি করা লোকও তাঁকে সিনেমা বানাতে চায়। এখন বড্ড বঙ্গবন্ধু প্রেমিক। এটাও ভালো। পজেটিভ বিষয়। হোক না।
আমার নির্মিত সিনেমার নাম হবে ‘দ্য গ্রেট প্রিজনার: বঙ্গবন্ধু’। আমি একদম সরল বয়োপিক নির্মাণ করতে চাই না। আমি স্পিরিট অব ফেলোসফির রুটে বাঙালির মুক্তিকে দেখতে চাই। আর এর ধরণ হবে, ডকো-বায়ো-ফিচার।
Discussion about this post