১৭ বছর ধরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রবাস জীবন অতিবাহিত করছিলেন পাকুন্দিয়া উপজেলার পাটুয়াভাঙ্গা ইউনিয়নের ভিটিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বাদল মিয়া। হঠাৎ ৩ মাস আগে স্ট্রোক করে সেখানকার একটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। দেশে থাকা পরিবারের লোকজন কোন সন্ধানই পাচ্ছিলেন না উনার।
১০-১৫দিন প্রানান্তকর চেষ্টার পর আজমানের একটি হাসপাতালে সন্ধান মেলে ওই প্রবাসী বাদল মিয়ার। পরিবারের একমাত্র অবলম্বন ব্যক্তিকে একদম অসহায় অবস্থায় দেখে পরিবারের লোকজন ভেঙে পড়েন। কোম্পানির চিকিৎসা ইন্সুইরেন্স শেষ হয়ে যাওয়ায় পরবর্তীতে উনাকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দিয়ে বাসায় প্রেরণ করা হয়। চিকিৎসার অভাবে রুমেই অবস্থান করছিলেন তিনি হাঁটাচলা করতে পারছিলেন না।
এ অবস্থায় পরিবারের লোকজন বিষয়টি জানান, পাকুন্দিয়ার সামাজিক প্লাটফর্ম ‘ভয়েস অব পাকুন্দিয়া’এডমিন এস এম রায়হানকে। পরে ভয়েস অব পাকুন্দিয়ার পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের উপসচিব, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের এর পার্সোনাল সেক্রেটারি এবং সাবেক র্যাবের আলোচিত ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের সাথে।
এ দিকে কোরবানী ঈদের দিন পাকুন্দিয়া বাজারে সারোয়ার আলমের সাথে দেখা করেন পরিবারের সদস্য ও ভয়েস অব পাকুন্দিয়ার সদস্যরা। সেখানে আরও বিস্তারিত আলোচনার পর তিনি তাৎক্ষণিক ফোন করেন দুবাইয়ের বাংলাদেশ দূতাবাসে। এবং কর্মকর্তাদের রোগীর খোঁজখবর নিতে বলেন।
ঈদের পর দিন দুবাইয়ের কর্মকর্তারা সারোয়ার আলমকে জানান, বাদল মিয়ার শারীরিক অবস্থা এতটাই খারাপ যে কারও সহযোগীতা ছাড়া হাটা চলা করতে পারেন না। তারপরও দ্রুত দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হচ্ছে।
এদিকে, ওই প্রবাসী দেশে ফেরেন ০৫ জুলাই। শারিরিক অবস্থা ক্রমেই অবনতির দিকে যেতে থাকলে তাকে ভর্তি করা করা হয় কিশোরগঞ্জের সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেলে। ০৮ জুলাই মঙ্গলবার ভোররাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
Discussion about this post