কাতার ও ইরাকে ইরানের হামলার পর সংযুক্ত আরব আমিরাতগামী ও প্রস্থানকারী ফ্লাইট বাতিল

ইরান কর্তৃক কাতার ও ইরাকে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর সংযুক্ত আরব আমিরাতের (UAE) বিভিন্ন ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।

বর্তমান পরিস্থিতি
FlightRadar24-এ দেখা যাচ্ছে, বর্তমানে UAE আকাশপথে খুব অল্প সংখ্যক বিমান চলাচল করছে।

আবুধাবির এক বাসিন্দা জেড.কে. জানান, তিনি ভারতের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, ঠিক তখনই বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। তিনি বলেন, “কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ এবং নতুন আপডেটের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। এখন পর্যন্ত আমরা চেক-ইন করতে পারিনি, খবরের জন্য অপেক্ষা করছি।”

Flydubai-এর বিবৃতি
UAE এর এয়ারলাইন flydubai সোমবার জানিয়েছে, তারা “অবস্থার উপর নিবিড়ভাবে নজর রাখছে।” প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র Khaleej Times-কে বলেন, “আমাদের যাত্রী ও ক্রুদের নিরাপত্তা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাচ্ছে।”

কাতারের পদক্ষেপ
ইরানি হামলার জেরে কাতার সরকার তাদের আকাশসীমা সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে। তারা জানিয়েছে, ইরানের হামলার প্রতিক্রিয়া জানানোর অধিকার তারা সংরক্ষণ করে।

স্থানীয় এয়ারলাইন্স ও অন্যান্য তথ্য
প্রত্যেকটি স্থানীয় এয়ারলাইন্স কাতারে ফ্লাইট পরিচালনা করে। Khaleej Times অন্যান্য এয়ারলাইন্সগুলোর সাথেও যোগাযোগ করেছে শিডিউলে পরিবর্তন হয়েছে কি না জানতে।

PIA (পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনস)
পাকিস্তানের জাতীয় বিমান সংস্থা PIA সোমবার ঘোষণা দিয়েছে যে, উপসাগরীয় অঞ্চলের পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় তারা সাময়িকভাবে দুবাইসহ কুয়েত, দোহা ও বাহরাইনে ফ্লাইট স্থগিত করছে।
তাদের বিবৃতিতে বলা হয়, “উপসাগরীয় অঞ্চলের উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে PIA সাময়িকভাবে দোহা, কুয়েত, বাহরাইন এবং দুবাইগামী ফ্লাইট স্থগিত করছে। সকল যাত্রীকে 021-111-786-786 নম্বরে কল করে সর্বশেষ ফ্লাইট তথ্য জেনে নিতে বা বিকল্প ফ্লাইটে বুকিং দিতে অনুরোধ করা হচ্ছে।”

ফ্লাইট বাতিলের অভিজ্ঞতা
দুবাইয়ের বাসিন্দা হুসেইন বলেন, তার ভগ্নিপতি মুম্বাই থেকে দুবাই আসার কথা ছিল, কিন্তু তার ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। তিনি বলেন, “পাইলট ঘোষণা দিয়েছেন, দুবাই থেকে নির্দেশনা এসেছে যে তারা আকাশসীমা ব্যবহার করতে পারবে না।”

একজন দুবাইভিত্তিক ট্রাভেল এজেন্ট জানান, পুনে থেকে দুবাইগামী একটি Spicejet ফ্লাইট মাঝ আকাশ থেকেই ঘুরে যেতে বলা হয়েছে।

অন্য একজন যাত্রী জানান, তিনি যখন বিমানে ছিলেন তখন হামলা হয়। তার ফ্লাইট এক ঘণ্টা দেরিতে হলেও দুবাইয়ে পৌঁছায় রাত ৮:৩০টার দিকে। তিনি বলেন, “আমি মনে করি আমি সৌভাগ্যবান ছিলাম। আমার এক আত্মীয়কে বিমানবন্দর থেকে ফিরে যেতে বলা হয়েছে, কারণ তার ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।”