চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনা নিশ্চিত করেছে আগেই এবার ২০২৬ সালের বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করল ব্রাজিলও। সাও পাওলোতে অনুষ্ঠিত লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বের ১৬তম রাউন্ডে প্যারাগুয়েকে ১-০ গোলে হারিয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে কনমেবল অঞ্চল থেকে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করল কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা।নিও কেমিকা অ্যারেনায় ম্যাচের ৪৩তম মিনিটে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের করা একমাত্র গোলেই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেয়। ম্যাথিউস কুনহা ডান দিক দিয়ে ড্রাইভ করে বক্সে ঢুকে বল বাড়ান মাঝমাঠে। ঠিক জায়গায় থাকা ভিনিসিয়ুস বলটি জালে পাঠাতে ভুল করেননি। এটাই আনচেলত্তির অধীনে ব্রাজিলের প্রথম গোলও।এর আগে ১১তম মিনিটে গোলের সুবর্ণ সুযোগ মিস করেন ভিনিসিয়ুস। কুনহার পাসে ডাইভ দিয়ে বল পৌঁছাতে পারেননি তিনি। দ্বিতীয়ার্ধেও দারুণ খেলেছে ব্রাজিল। ব্রুনো গিমারায়েসের দুর্দান্ত এক শট সেভ করে ব্রাজিলের দ্বিতীয় গোল আটকে দেন প্যারাগুয়ের গোলরক্ষক রবার্তো ফার্নান্দেজ।
প্যারাগুয়ে অবশ্য একেবারে খালি হাতে লড়াই করেনি। প্রথমার্ধে হুয়ান ক্যাসেরেস স্কিসর কিকে গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলেন, যা কর্নারে পরিণত হয়। দ্বিতীয়ার্ধে একাধিক পরিবর্তন আনলেও গাস্টাভো আলফারোর দল ব্রাজিলের রক্ষণ ভাঙতে পারেনি। ক্যাসেমিরো, মারকুইনিয়োস, আলিসনরা দারুণভাবে নিজেদের সীমানা আগলে রাখেন।
ম্যাচজুড়েই বেশ কিছু ফাউল, হলুদ কার্ড এবং কর্নার কিকের দেখা মেলে। ভিনিসিয়ুস, গিমারায়েসসহ তিন ব্রাজিলিয়ান খেলোয়াড় এবং জুনিয়র আলোনসো একমাত্র প্যারাগুইয়ান খেলোয়াড় হলুদ কার্ড দেখেন।এই জয়ের মাধ্যমে কনমেবল অঞ্চলের দ্বিতীয় দল হিসেবে ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করল ব্রাজিল। এর আগে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করে। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে হতে যাওয়া এই বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ব্রাজিলের এই ধারাবাহিকতা তাদের শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত করল।
আগামী ম্যাচে তারা মুখোমুখি হবে উরুগুয়ের। সেই ম্যাচেও আনচেলত্তির দল জয়ের ধারা ধরে রাখতে পারলে কনমেবল অঞ্চলে তাদের অবস্থান আরও মজবুত হবে।
Discussion about this post