সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় পুকুর খননকারীর কাছে চাঁদা চাইতে গেলে যুবদল ও কৃষক দলের ৩ নেতাকে আটকে রেখে বেধড়ক পিটুনি দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। এ সময় তাদের ৩-৪টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
শুক্রবার (১৬ মে) বিকেলে থানার নইপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।এ সংক্রান্ত কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তাতে নারী-পুরুষ মিলে ওই সব যুবদল ও কৃষক দলের নেতাদের আটকে রেখে মারধরসহ মোটরসাইকেল ভাঙচুর করতে দেখা গেছে।
আহতরা হলেন- সলঙ্গা থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মোমিন, সদস্য রোকনুজ্জামান খোকন ও সলঙ্গা থানা কৃষক দলের সদস্য সচিব সোবহান আলী।স্থানীয় শহিদুল ইসলাম ও আরব আলী বলেন, বিকেলে ৫-৭টি মোটরসাইকেলে ৮-৯ জন যুবদল ও কৃষক দলের নেতা নইপাড়ায় গ্রামে এসে শহিদুল ইসলামের পুকুর খনন কাজ চলাকালে চাঁদা দাবি করেন। ওই সময় এলাকার বিক্ষুব্ধ নারী-পুরুষরা তাদের ৩ জনকে আটকে রেখে বেধড়ক পিটুনি দিয়েছে। বাকিরা পালিয়ে গেছে। উত্তেজিত লোকজন তাদের ৩-৪টি মটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে।
সলঙ্গা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি মতিয়ার রহমান সরকার কালবেলাকে বলেন, আমি সিরাজগঞ্জ জেলা সদরে অবস্থান করছি। চাঁদা দাবি ও মারধরের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা নেই। জানার পর বলতে পারব।
সলঙ্গা থানার ওসি হুমায়ুন কবির কালবেলাকে জানান, সংবাদ পেয়ে আটকে রাখা নেতাদের উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে।
Discussion about this post