দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে লাগেজে নিষিদ্ধ ওষুধ বহনের দায়ে এক ৪৫ বছর বয়সী এশিয়ান ব্যক্তিকে দুবাই ক্রিমিনাল কোর্ট ২ বছরের কারাদণ্ড, ১ লাখ দিরহাম (প্রায় ৩০ লাখ টাকা) জরিমানা এবং কারাদণ্ড শেষে দেশে ফেরত পাঠানোর আদেশ দিয়েছে।
বিমানবন্দরে কাস্টমস কর্মকর্তারা তার লাগেজ তল্লাশি করে ৪৮০টি ক্যাপসুল উদ্ধার করেন। পরীক্ষাগারে বিশ্লেষণের পর জানা যায়, ওষুধগুলোর মধ্যে এমন একটি নিষিদ্ধ পদার্থ রয়েছে যা বৈধ প্রেসক্রিপশন ছাড়া আমিরাতে প্রবেশ করানো সম্পূর্ণ বেআইনি।
তদন্তে উঠে আসে, অভিযুক্ত ব্যক্তির কাছে কোনো চিকিৎসাগত নথিপত্র ছিল না। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, ওষুধগুলো তিনি নিজ দেশ থেকে এনেছেন এবং সেগুলো ইউএই-তে কাউকে দেওয়ার কথা ছিল।
শুধু কারাদণ্ড ও জরিমানাই নয়, আদালত আরও নির্দেশ দিয়েছে যে, সাজা শেষে ওই ব্যক্তি দুবাই থেকে বহিষ্কৃত হবেন এবং মুক্তির পর দুই বছর পর্যন্ত তিনি কাউকে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে টাকা পাঠাতে বা হস্তান্তর করতে পারবেন না—এ জন্য ইউএই সেন্ট্রাল ব্যাংক ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিয়ন্ত্রিত ওষুধ সংক্রান্ত আইন অত্যন্ত কঠোর এবং কোনো ওষুধ বহনের ক্ষেত্রে বৈধ প্রেসক্রিপশন ছাড়া তা নিষিদ্ধ বলে গণ্য করা হয়।
Discussion about this post