এসএসসি পরীক্ষার্থী মেয়ে তাসফিয়াকে নিয়ে ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি থেকে পরীক্ষা কেন্দ্রে যাচ্ছিলেন বাবা মাহবুবুর রহমান। পথে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।
পরে দ্রুত মাহবুবুর রহমানকে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয় আর মেয়েকে পরীক্ষা কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা মাহবুবুর রহমানকে মৃত ঘোষণা করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের ভরিপাশা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে কালিশুরী এসএ ইনষ্টিটিউশন কেন্দ্রে যাচ্ছিলেন মাহবুবুর রহমান। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তিনি। মেয়ে তাসফিয়াকে নিয়ে বাড়ি থেকে সকাল ৯টার দিকে রওয়ানা দেন তিনি।
গাজিমাঝি বাজার এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন মাহবুবুর রহমান। পরে স্থানীয়রা মেয়েকে পরীক্ষা কেন্দ্রে আর বাবাকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।
বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. ইউসুফ বলেন, তাসফিয়া পরীক্ষা দিচ্ছেন। এখন পর্যন্ত সে জানে না তার বাবা বেঁচে নেই।
অপরদিকে বাবা মাহবুবুর রহমানের লাশ বাড়িতে নেওয়া হয়েছে। পরিবারে চলছে শোকের মাতম। কালিশুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, মাহবুবুর রহমানের ৩ মেয়ের মধ্যে তাসফিয়া মেজো, পরীক্ষার পর তাসফিয়া জানবে তার বাবা আর নেই।
Discussion about this post