আজ সোমবার (১০ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন চরমোনাই কওমিয়া শাখার আয়োজনে চরমোনাই মাদরাসা ক্যাম্পাসে দেশব্যাপী সব ধর্ষকের বিচার ও সর্বোচ্চে শাস্তির দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
শায়খে চরমোনাই বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে চিরতরে ধর্ষণ বন্ধ করতে হলে ইসলামী হুকুমত কায়েম করতে হবে এবং কোরআন-সুন্নাহর আইন বাস্তবায়ন করতে হবে। কোরআন-সুন্নাহর আইন বাস্তবায়ন ব্যতীত ধর্ষণ বন্ধ করা সম্ভব নয়।
তিনি আরো বলেন, ‘বর্তমানে দেশের বিভিন্ন যায়গায় ধর্ষণ, খুন, চুরি-ডাকাতি বেড়ে গেছে। এর কারণ কি? আমি মনে করি, দু-একজন ধর্ষককে ফাঁসিতে দিলেই ধর্ষণ বন্ধ হবে না। ধর্ষণ কেন হচ্ছে এর কারণ উদঘাটন করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘ধর্ষণের মূল কারণ হলো নৈতিক শিক্ষার অভাব, আল্লাহর ভয় ও ইসলামী শিক্ষা আমাদের মধ্যে নেই।
জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটিতে ১০০ ধর্ষণের পর সেঞ্চুরি পালন করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সেই ধর্ষণের আজও বিচার করা হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ধর্ষণ হচ্ছে। অবৈধ গর্ভপাতের মাধ্যমে ছোট ছোট বাচ্চাকে ড্রেনে নিক্ষেপ করা হচ্ছে, বালু চাপা দিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে। অথচ আমরা নিজেদের স্বাধীন মনে করি, সচেতন মনে করি ও উদার মনে করি।
এ সময় তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ধর্ষক, লুটেরা, দুর্নীতিবাজ, ডাকাত, জালেম ও খুনিদের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রাম করার আহ্বান জানান।
বিক্ষোভ মিছিলে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন চরমোনাই কওমিয়া শাখার সভাপতি মাওলানা ফয়জুল্লাহ বিন সিদ্দিক, সহসভাপতি মো. ইসমাইল, সাধারণ সম্পাদক মো. ইব্রাহীমসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post