সৎ মায়ের প্রতিহিংসার আগুনে পুড়লো পাঁচ বছর বয়সী শিশু মাহমুদা খাতুন। কোমল পানির সঙ্গে বিষ মিশিয়ে হত্যা করা হয় মাহমুদাকে। এ ঘটনায় স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামী শুক্রবার কোটচাঁদপুর মডেল থানায় এজাহার দাখিল করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার ভোমরাডাঙ্গা গ্রামে।
ভোমরাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেনীর ছাত্রী শিশু মাহমুদা ওই গ্রামের শাহিন আলমের মেয়ে। মাহমুদা ভুমিষ্ট হওয়ার সময় তার মা আফরোজা মৃত্যুবরণ করলে পিতা শাহিন আলম বন্যা নামে আরেক নারীকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন মাতুব্বর এজাহারের উদ্বৃতি দিয়ে জানান, প্রথম স্ত্রী মারা গেলে মামলার বাদী শাহিন আলম বিদেশ থাকা অবস্থায় মোবাইলে ভোমরাডাঙ্গা গ্রামের জিয়াউর রহমানের মেয়ে বন্যার সাথে বিয়ে হয়।
ওসি আরো জানান, গত ৭ জানুয়ারি শাহিন আলম বিদেশ থেকে বাড়ি ফিরে বন্যাকে স্ত্রী হিসেবে ঘরে তুলে নেন। কিছু দিন পর মেয়ে মাহমুদাকে নিয়ে শুরু হয় তাদের মধ্যে কলহ। এ ঘটনার জের ধরে গত শনিবার (১ মার্চ) মাহমুদাকে কৌশলে কমল পানির সঙ্গে বিষ মিশিয়ে পান করায়। সখিনা খাতুন নামে এক নারী জানান, বিষ খাওয়ানোর পর মাহমুদা মৃত্যু যন্ত্রনায় ছটফট করতে থাকলে তাকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে চুয়াডাঙ্গা হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসাধীন অবস্থ্য় গত বৃহস্পতিবার ফুটফুটে শিশু মাহমুদা মৃত্যু পেয়ালায় চুমুক দেয়। প্রতিবেশিরা জানায় মাহমুদা মৃত্যুর আগে তাকে তার সৎ মা বন্যা খাতুন জোর করে বিষ পান করিয়েছেন বলে স্বজনদের জানিয়ে গেছে।
কোটচাঁদপুর থানার ওসি কবির হোসেন মাতুব্বর বলেন, শিশু মাহমুদা হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় বাদি হয়েছেন শিশুটির পিতা। ওই মামলায় মাহমুদার সৎ মাকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে বলেও তিনি জানান।
Discussion about this post