সিএনজি চালিত অটোরিকশায় ধাক্কা লাগার জের ধরে কুমিল্লার লালমাই উপজেলার এমআর ফিলিং স্টেশনে অপর অটোরিকশা চালককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
নিহত ওমর ফারুক মজুমদার (৪৫) নাঙ্গলকোট উপজেলার আদ্রা ইউনিয়নের লুধুয়া এলাকার আবদুল বারেক মজুমদারের ছেলে। তার স্ত্রী এবং মোহাম্মদ সালমান (১৪), মোহাম্মদ সাইফ(১০) ও মোহাম্মদ সাজ্জাদ (৮) নাম তিন সন্তান রয়েছে।
লালমাই থানার ওসি মো. শাহ আলম জানান, শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় লাকসাম ফয়েজগঞ্জে এমআর সিএনজি ফিলিং স্টেশনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তি দাবিতে কুমিল্লা-নোয়াখালী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন নিহতের স্বজন, এলাকাবাসী ও অটোরিকশা চালকরা। এতে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
ওসি শাহ আলম বলেন, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে ওমর ফারুককে পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ওমর ফারুকের খালাতো ভাই বাকের মজুমদার বলেন, “শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে ওমর ফারুক লাকসাম বাইপাস এলাকা থেকে অটোরিকশায় গ্যাস নেওয়ার জন্য রওনা দেন। এ সময় মুদাফরগঞ্জ রাস্তার মাথায় আরেকটি অটোরিকশার সঙ্গে ওমর ফারুকের গাড়ির সামান্য ধাক্কা লাগে। এতে ওই অটোরিকশা চালক ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে আটক করেন।
খবর পেয়ে আমি ঝগড়া মিটানোর চেষ্টা করি এবং তাকে স্ট্যান্ডে গিয়ে নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে বলি। কিন্তু ওই চালক তা না শুনে মোবাইল ফোনে লোকজন ডেকে এনে ওমর ফারুককে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেন। বাধা দিলে তারা আমাকেও মারধর করেন।”
তিনি বলেন, ওমর ফারুককে প্রথমে লাকসামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি দেখে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার কিছুক্ষণ পর তার মৃত্যু হয়।
ওমর ফারুকের মৃত্যুর খবর পেয়ে তার স্বজন, এলাকাবাসী ও অন্য অটোরিকশা চালকরা মরদেহ কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের লুধুয়া এলাকা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এ সময় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে প্রায় এক ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ গিয়ে সড়ক থেকে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
লাকসাম হাইওয়ে ক্রসিং থানার ওসি মোবারক হোসেন বলেন, “মারামারির সময় ওমর ফারুকের মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করা হয়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যায় বলে শুনেছি। তবে বেশিক্ষণ সড়ক বন্ধ থাকেনি।”
লালমাই থানার ওসি শাহ আলম বলেন, রাত ৮টা পর্যন্ত এ ঘটনায় মামলা হয়নি। তবে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
Discussion about this post